সেমিফাইনালেই ভেঙে গেল বাংলাদেশের স্বপ্ন
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ২৬৪/৭ উইকেট, ৫০ ওভার (তামিম ৭০, মুশফিক ৬১, মাশরাফি ৩০, যাদব ২/২২, বুমরাহ ২/৪০, ভুবনেশ্বর ২/৫৩)
ভারত ২৬৫/১, ৪০.১ ওভার (রোহিত ১২৩*, কোহলি ৯৬*, ধাওয়ান ৪৬, মাশরাফি ১/২৯)
ফলঃ ভারত ৯ উইকেটে জয়ী
একদলের প্রথমবার সেমিফাইনালের স্বাদ, ফাইনালে ওঠা মানে স্বপ্নযাত্রার আরেক ধাপ। আরেকদল এই টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, লক্ষ্য আরেকটা ফাইনাল। বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা থেমে গেল সেমিফাইনালেই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠলো ভারত।
ওভালের এ উইকেটে ২৬৪ যথেষ্ট পুঁজি নয়, এটা বলে দেয়াই যায়। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে সুযোগ হারিয়েছে স্কোরটাকে আরও বড় করার। আর এই রান তাড়াকেই অতি সহজ বানিয়ে ফেলেছে ভারতের ব্যাটিং। রোহিত-ধাওয়ানের ওপেনিং জুটি ভাঙলেও কোহলিকে নিয়েই জয়ের বন্দরে গেছেন রোহিত। রোহিত করেছেন সেঞ্চুরি, কোহলি পাননি, তবে ছিলেন অপরাজিত। এদিনই ক্যারিয়ারের ৮০০০ রান ছুঁয়ে ফেলেছেন কোহলি, হয়ে গেছেন ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম ৮০০০ রান করা ব্যাটসম্যান।
১৮ তারিখ এই ওভালেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দী পাকিস্তান।
রোহিতের সেঞ্চুরি
ভারত ২১২/১, ৩৩ ওভার
১১তম সেঞ্চুরি পেলেন রোহিত শর্মার। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিতীয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম। প্রায় দেড় বছর পর সেঞ্চুরি পেলেন ভারতীয় ওপেনার। ২০১৬ সালে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে শেষ তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন রোহিত। এর আগে ক্যারিয়ারে ৪২তম ফিফটি পেয়েছেন কোহলি। এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তৃতীয় ফিফটি তার। ফাইনালের আরও কাছে ভারত।
রোহিতের ফিফটি, ভারতের ১০০
ভারত ১০২/১, ১৭ ওভার
আরেকটা ফিফটি রোহিত শর্মার। ক্যারিয়ারের ৩২তম, এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৩য়। ভারতের রানও ছাড়িয়েছে ১০০। ক্রিজে এখনও স্বস্তিতেই আছেন রোহিত, লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে তাকে ফেরাতে হবে বাংলাদেশকে, তাড়াতাড়িই।
মাশরাফিতেই ব্রেকথ্রু
ভারত ৮৭/১, ১৫ ওভার
মাশরাফির কাটার, ধাওয়ানের উইকেট। মিড-অফ দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন বড় শট, কাটারে বোকা বনে সেই শট গেল পয়েন্টে। মোসাদ্দেকের কাছে ক্যাচ, মাশরাফিতে ব্রেকথ্রু। তবে দেরি হয়ে গেল কি বেশি!
ঝড়ো শুরু ভারতের
ভারত ৫৬/০, ৮ ওভার
উইকেটে যেন ব্যাটিং অনুশীলন করছেন ভারতের দুই ওপেনার। ৫টি করে চার মেরেছেন দুজনই, ১টি ছয় মেরেছেন ধাওয়ান। ফিফটি হয়ে গেছে ভারতের, তাসকিনের এক ওভারে এসেছে ১৬ রান। ব্রেকথ্রুর দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ২৬৪/৭ উইকেট, ৫০ ওভার (তামিম ৭০, মুশফিক ৬১, মাশরাফি ৩০, যাদব ২/২২, বুমরাহ ২/৪০, ভুবনেশ্বর ২/৫৩)
শুরুর ধাক্কা সামলিয়ে ১২৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি গড়েছিলেন তামিম-মুশফিক। তখন বড় স্কোর দেখছিল বাংলাদেশ। ২৮তম ওভারে আউট হলেন তামিম। কেদার যাদব নিলেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। বাংলাদেশ ইনিংসের ধ্বসটা শুরু হয়ে গেল যেন তখনোই। পরের ১৭ ওভারে ৭০ রান, ৫ উইকেট। তামিমের পর গেছেন সাকিব, ইনিংস আরও বড় না করার হতাশায় পুড়েছেন মুশফিক। মোসাদ্দেক ফিরেছেন, আশা জাগিয়েও থাকেননি মাহমুদউল্লাহ। শেষদিকে মাশরাফির ২৫ বলে ৩০ রানের ক্যামিও, তাসকিনের সঙ্গে ৮ম উইকেটে ৩৫ রানের জুটিতে বাংলাদেশ পেরিয়েছে ২৫০। ওভালের এই জীবন্ত আর তরতাজা উইকেট অবশ্য আশা করছিল আরও বেশি রান।
ভারতের সঙ্গে আগে ব্যাটিং করে এর আগে দুইবার জিতেছে বাংলাদেশ। একবার করেছিল ২২৯, আরেকবার ৩০৭। ফাইনালে যাওয়ার পথে কি ২৬৪-ই যথেষ্ট হবে বাংলাদেশের?
শেষ মাহমুদউল্লাহ আশাও
বাংলাদেশ ২২৯/৭, ৪৫ ওভার
বুম বুমরাহ! ফুললেংথের বল, জায়গা বানিয়ে খেলতে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। নাগালই পেলেন না বলের। স্টাম্প ভাঙলো শুধু, বুমরাহর দ্বিতীয় উইকেট। ২৫ বলে ২১ করেছেন মাহমুদউল্লাহ, ২৫০ করতে পারবে বাংলাদেশ?
বুমরাহর শর্ট বলে কাবু মোসাদ্দেক
বাংলাদেশ ২১৮/৬, ৪২.৪ ওভার
১৪০ কিলোমিটার গতির শর্ট বল। মোসাদ্দেক যেন নাচের মুদ্রা করলেন কিছুটা। পুলের মতো শট খেলতে গিয়েছিলেন, টাইমিং বা নিয়ন্ত্রণ কিছুই পেলেন না। টপ-এজ হলো শুধু, নিজেই ক্যাচ নিলেন বুমরাহ। তিনি পেলেন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পুরষ্কার। আরেকটা জুটি থেমে গেল অপরিণত অবস্থাতেই!
মাহমুদউল্লাহ বাঁচলেন
বাংলাদেশ ১৯৭/৫, ৩৭ ওভার
পান্ডিয়াকে আপারকাট করতে গিয়েছিলেন। থার্ডম্যানে দৌড়ে এসে হাতে নিলেন অশ্বিন, রাখতে পারলেন না। উলটো হয়ে গেল চার। বাঁচলেন মাহমুদউল্লাহ, হতাশ হলেন পান্ডিয়া। দ্বিতীয় জীবনেও অবশ্য নড়বড়েই থেকে গেছেন মাহমুদউল্লাহ।
মুশফিককেও নিলেন কেদার
বাংলাদেশ ১৮৩/৫, ৩৬ ওভার
হায় মুশফিক! ৮৫ বলে ৬১, কেদারকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে করলেন সুইপ। বল বনে গেল ফুলটস, আর তিনি বনে গেলেন মিড-অনে কোহলির হাতের ক্যাচ! পঞ্চম বোলার নিয়ে সমস্যাই ছিলেন কোহলি, এনেছিলেন কেদারকে। তিনি নিলেন দ্বিতীয় উইকেট, তামিমের পর এবার মুশফিকও। আরেকবার ধাক্কা খেলো বাংলাদেশ, মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহর জুটির ওপর দায়িত্ব অনেক এখন।
আবার হোঁচট খেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ১৭৭/৪, ৩৪.২ ওভার
আবার ম্যাচে ফিরলো ভারত। ফিরলেন সাকিব। জাদেজাকে কাট করতে গিয়েছিলেন। এজ হলেন। ভাল ক্যাচ নিয়েছেন ধোনি। জুটিটা বড় হলো না, ওপাশ আগলে থাকলেন মুশফিকই।
পার্টটাইমার নিলেন তামিমের উইকেট
বাংলাদেশ ১৫৬/৩, ২৮.৫ ওভার
হঠাৎ করেই যেন বড় শট খেলতে গেলেন তামিম। কাল হয়ে দাঁড়ালো সেটাই। কেদার যাদবের ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা নাগাল পেলো না তামিমের ব্যাট। হলেন বোল্ড। কোহলিদের উল্লাসটাই বলে দিচ্ছিল, কতো গুরুত্বপূর্ণ ছিল তামিমের উইকেট! যাওয়ার আগে করলেন ৭০ রান। ৮২ বল খেলেছেন, ৭টি চার ও ১টি ছয় মেরেছেন।
মুশফিকের ফিফটি, বাংলাদেশের ১৫০
বাংলাদেশ ১৫২/২, ২৭.২ ওভার
জাদেজার বলটা ঠিক সেভাবে খেলতে চাননি, তবে মুশফিক তাতে আপত্তি করবেন না। সেই সিঙ্গেলেই ২৬তম ওয়ানডে ফিফটি হয়ে গেল মুশফিকের, এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয়। ওভালে প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৭৯ করেছিলেন মুশফিক।
শতরানের জুটি তামিম-মুশফিকের
বাংলাদেশ ১৩৭/২, ২৪ ওভারে
তামিম-মুশফিকের জুটি হয়ে গেল সেঞ্চুরি। ম্যাচের প্রেক্ষিতে জুটির গুরুত্ব বাড়ছেই শুধু। দুজনের এটি ৪র্থ ১০০ রানের জুটি। সাকিবের সঙ্গেও ৪টি শতরানের জুটি আছে মুশফিকের।
ধাওয়ানকে টপকে গেলেন তামিম
বাংলাদেশ ১২৬/২, ২২.২ ওভার
ধাওয়ানের ২৭১ রান টপকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বোচ্চ রান স্কোরার হয়ে গেছেন তামিম। তামিম থামেননি এখনও, অশ্বিনকে মারলেন পরপর তিনটি চার।
তামিমের ফিফটি
বাংলাদেশ ১০৯/২, ২০.২ ওভার
রিভার্স সুইপ করে চার, তামিম ইকবাল করলেন ক্যারিয়ারের ৩৮তম ফিফটি। ভারতের সঙ্গে এটি তামিমের ৮ম ফিফটি। বাংলাদেশের ১০০ ছাড়িয়েছে আগেই। পরের ওভারে চার মারার পরই স্টাম্পড হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন মুশফিক।
তামিম-মুশফিকের ৫০
বাংলাদেশ ৯০/২, ১৭ ওভার
গুরুত্বপূর্ণ জুটিটা এগিয়ে নিচ্ছেন তামিম ও মুশফিক। ছাড়িয়েছে ৫০। দুজনের এটি ৮ম পঞ্চাশ বা এর বেশি রানের জুটি। পান্ডিয়াকে ফ্লিক করে ছয় মেরেছেন তামিম, নিজে এগুচ্ছেন ফিফটির দিকে। আক্রমণের চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসেননি দুইজন, তবে পরিস্থিতি বুঝছেন ভালভাবে।
পান্ডিয়ার ঘটন-অঘটনময় ওভার!
বাংলাদেশ ৬৭/২, ১৪ ওভার
নো বল, আউট, ফ্রি হিট, মিস, শর্ট রান! প্রথমে কোহলির ভুলে হলো নো, বৃত্তের বাইরে ছিল বেশি ফিল্ডার। সেই ফ্রি হিটে তামিম ক্যাচ দিলেন, শঙ্কা থাকলো রান-আউটেরও। তবে প্রথম রানটা পূরণ করলেন না ঠিকঠাক, হলো এক কম। সেই ওভারেই পান্ডিয়াকে হাঁটু তুলে খেলতে গিয়ে স্টাম্পে ডেকে আনলেন বল, হলেন বোল্ড! কিন্তু নো বলের সংকেত দিলেন কুমার ধর্মসেনা। এই ফ্রি হিটে প্রথমে হলো ওয়াইড, পরে চার মারলেন তামিম, সব মিলিয়ে হলো ১৩ রান।
ডট-ডটের পর মুশফিকের টানা তিন
যেন রানখরা চলছিল। ডটের পর ডট। চাপ কমাতেই কিনা ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে গিয়ে চড়ে খেলতে গেলেন মুশফিক, ইনসাইড-এজে পেলেন বাউন্ডারি। পরের দুটো অবশ্য দেখার মতো শট। প্রথমে ফ্রন্টফুটে কাভার ড্রাইভ, এরপর ব্যাকফুটে স্কয়ার কাট। তিনটি বাউন্ডারিই এলো পরপর।
চাপে পিষ্ট সাব্বির
বাংলাদেশ ৩১/২, ৭ ওভার
চাপ! টানা ১৩টা ডট বলের কারণে বাড়ছিল চাপ, সে চাপই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল যেন সাব্বিরকে। ভুবনেশ্বরের বেশ বাইরের বলকে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন সোজা পয়েন্টে। ৭ ওভারের আগেই দ্বিতীয় উইকেট নেই বাংলাদেশের। ডট বলরুপী চাপটা তাই শুধু বাড়লোই।
জোড়া জোড়া চার
বাংলাদেশ ২১/১, ৩ ওভার
আগের ওভারে বুমরাহকে ফাইন লেগ দিয়ে মেরেছিলেন তামিম, কাভার দিয়ে সাব্বির। এবার ভুবনেশ্বরকে দুইটা চার মারলেন সাব্বির, দুইটাই কাভার দিয়ে। এর মধ্যে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মেরেছেন একটা। ছন্দে সাব্বির। ছন্দে বৃষ্টিও, গুঁড়ি গুঁড়ি পড়েই যাচ্ছে।
প্রথম ওভারেই প্রথম ধাক্কা
বাংলাদেশ ১/১, ১ ওভার
আহ, সৌম্য! বোল্ড! আগের বেরিয়ে যাওয়া বলটাও ছেড়ে দিলেন। ভুবনেশ্বরের এই বলটা সিমে পড়ে ভেতরে ঢুকলো একটু, তাতেই গড়বড় হয়ে গেল সব। সৌম্য যা করেন, জায়গা থেকেই করলেন ড্রাইভ। সৌম্যর ব্যাট চুমে দিক পরিবর্তন করলো বল, ভেঙ্গে দিল স্টাম্প। প্রথম ওভারেই ব্রেকথ্রু ভারতের, প্রথম ওভারেই ধাক্কা বাংলাদেশের।
মিনিট দশেক দেরি হয়েছে শুধু। বৃষ্টি থেমেছে আগেই। জাতীয় সঙ্গীতের পর শুরু হয়েছে খেলা।
এজবাস্টনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ম্যাচ শুরুর নির্ধারিত সময়ের এখনও কিছু বাকি।
- আর ৩২ রান হলেই দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০০০ রান পূর্ণ হবে সাকিব আল হাসানের।
- পঞ্চম ভারতীয় হিসেবে ৩০০তম ওয়ানডে খেলতে নামছে যুবরাজ সিং।
মহাগুরুত্বপূর্ণ টসে জিতেছেন বিরাট কোহলি, বাংলাদেশকে পাঠিয়েছেন ব্যাট করতে। মাশরাফি বিন মুর্তজা পরে এসে জানিয়েছেন, তিনিও আগে জিতলে বোলিং নিতেন। হঠাৎ করেই মেঘলা হয়ে এসেছে এজবাস্টনের আকাশ, আর কোহলি আগের ম্যাচে বাংলাদেশের রান তাড়ার কীর্তিটা নিশ্চয়ই জানেন।
আগেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল, দুই দলের প্রথম একাদশে পরিবর্তন থাকবে না। শেষ পর্যন্ত সেটিই হয়েছে। দুই দলের প্রথম একাদশে থাকছে না কোনো পরিবর্তন।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম, সৌম্য, সাব্বির, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক, মাশরাফি, মুস্তাফিজ, রুবেল, তাসকিন।
ভারত একাদশ
ধাওয়ান, রোহিত, কোহলি, যুবরাজ, ধোনি, কেদার যাদব,পান্ডিয়া, জাদেজা, অশ্বিন, ভুবনেশ্বর, বুমরা।
বার্মিংহামের আকাশ রোদেলা, বৃষ্টির চিহ্ন নেই। ম্যাচ শুরুর ঘন্টা দেড়েক আগেই দুই দল চলে এসেছে মাঠে। মঞ্চ প্রস্তুত বাংলাদেশ-ভারত সেমিফাইনালের। দুই দলের অধিনায়কই কাল মনে করিয়ে দিয়েছেন, একটা ক্রিকেট ম্যাচ ছাড়া অন্য কিছু নয়। বিরাট কোহলি বলেছেন, দুই বছর আগের বিশ্বকাপের ওই ম্যাচের কথা তাঁর মনেই নেই। মাশরাফি বিন মুর্তজাও বলছেন, চাপ ঝেড়ে ফেলে এই ম্যাচটা শুধু উপভোগ করতে চান। যারা অফ ফর্মে আছেন, তাঁদের নিয়েও খুব একটা চিন্তা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ দল কি পারবে নির্ভার খেলতে?
দুই দেশ এর আগে ৩৩টি ম্যাচ খেলেছে, এর মধ্যে ২৬টি ম্যাচ জিতেছে ভারত, বাংলাদেশ জিতেছে পাঁচটি। দুইটি পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে সর্বশেষ তিন ওয়ানডের দুটিই জিতেছে বাংলাদেশ। আইসিসির ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টে দুই দলের দেখা হয়েছে তিন বার, বাংলাদেশের আছে একটি জয়।