'লড়াই হবে ভারতের ব্যাটিং আর পাকিস্তানের বোলিংয়ের'
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই ফেবারিট ভারত। আর পাকিস্তানের ফাইনালে ওঠাটাই যেন একটা বিস্ময়। তবে সব ছাপিয়ে দুই চির-প্রতিদ্বন্দ্বীই মুখোমুখি হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। আইসিসি টুর্নামেন্টে এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই শুধু ভারতকে হারানো অভিজ্ঞতা আছে পাকিস্তানের। তবে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান মাইক হাসি এবার পাকিস্তানের অনেক বড় সুযোগ দেখছেন। আইসিসির ওয়েবসাইটে লেখা কলামে হাসি বলেছেন, ‘সেমিফাইনালে পৌঁছে পাকিস্তান সবাইকে বিস্মিত করেছে। এই পাকিস্তানই ভারতের কাছে প্রথম ম্যাচে উড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে প্রায় প্রত্যেকটা ম্যাচই পাকিস্তানের জন্য ছিল নক-আউটের মতো। এই দলটা নিজেদের হারানোর কিছু নেই, এই স্বাধীনতা নিয়েই খেলেছে। পাকিস্তান এবার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে, এমন একটা অনুভূতি হচ্ছে আমার।’
ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপ নিয়ে তিনি বলছেন, ‘এমনিতে শিখর, রোহিত আর বিরাট অসাধারণ। উইকেটে তাদের নিয়ন্ত্রণও অনেক। প্রতিপক্ষের বোলারদের বুকে তারা কাঁপুনি ধরিয়ে দিতে পারে। ভারতের একটা চিন্তা হতে পারে, যুবরাজ, ধোনি, কেদার, পান্ডিয়া, জাদেজারা তেমন সুযোগ পাননি নিজেদের ব্যাটিং পরখ করে দেখার।’
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই যেন ভারতের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের বোলারদের লড়াই। তবে এই ভারতীয় বোলিংয়েও মুগ্ধ হাসি, ‘ভারতের বোলিংয়ে অনেক বৈচিত্র। পেস, স্কিল, স্পিন। উমেশ যাদবের মতো একজন পেসার দলে সুযোগ পাচ্ছে না, এটা চিন্তা করাটাও অসাধারণ একটা ব্যাপার!’
আর সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ পাকিস্তানের বোলিং লাইন-আপের একটা ব্যাপারকেও গুরুত্বপূর্ণ মানছেন, ‘(সেমিফাইনালে) ইংল্যান্ডকে পাকিস্তান স্কোর করার সুযোগই দেয়নি সেভাবে। ওয়ানডেতে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের এটা অসাধারণ একটা উদাহরণ। ওয়ানডেতে স্পিনারদের শুরুতেই আনার ব্যাপারে আমি পক্ষপাতি। ইমাদ ও হাফিজ, দুজনই বেশ সোজা ও চাতুরতার সঙ্গে বল করেছে। তারা সেভাবে স্পিন করায় না, তবে চাপ তৈরীতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে।’
হাসির মতো তিনিও মুগ্ধ ভারতের টপ অর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে। এই লাইন-আপের সঙ্গে লড়াইটাই পাকিস্তানের অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিও, ‘পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপের সঙ্গে লড়াইটা। বিরাট কোহলির দল এরই মাঝে দেখিয়ে দিয়েছে, টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটিং লাইন-আপ তাদেরই। এই ব্যাটসম্যানরা চাপের মাঝেও অটল থাকতে পারে, রান-তাড়ায় কোহলির রেকর্ডটা তো অবিশ্বাস্য রকমের।’
ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল নিয়ে স্মিথ বলেছেন মোদ্দা কথাটা, ‘আমি টুর্নামেন্টের ভালোর জন্য চাইব, একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচ দেখতে। ভারত যে ক্রিকেট খেলছে, সেটার মান বা তাদের ফর্ম বিবেচনায় আমি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তাদের নামই বলবো। তবে পাকিস্তান যে সবাইকে চমকে দিতে পারে, সেটা তো তারা দেখিয়েছেই!’