ওয়াইড-নো ছাড়াই ক্যারিয়ার পার!
ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত একটাও নো-ওয়াইড নেই, এমন কীর্তি কোনো বোলারের আছে? কয়েক ম্যাচেই ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেলে সেটা হতেই পারে। তবে অন্তত ১০০ ম্যাচ খেলেছেন, এমন কারও জন্য সেটি বিস্ময়করই। সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার মাইকেল হোল্ডিংয়ের ছিল এই কীর্তি। ১০২ ওয়ানডেতে ৫৪৭৩টি বল করেছিলেন, কিন্তু একটিও নো বা ওয়াইড ছিল না।
হোল্ডিংয়ের মতো নো-ওয়াইডে ভীষণ কৃপণ ছিলেন তাঁর সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ সতীর্থ জোয়েল গার্নারও। ৯৮টি ওয়ানডে খেলে ৫৩৩০টি বল করেছিলেন, এর মধ্যে নেই কোনো নো বা ওয়াইড। সাবেক নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার ল্যান্স কেয়ার্নস (ক্রিস কেয়ার্নসের বাবা) বল করেছিলেন ৪০২১টি, তাতেও নেই কোনো নো বা ওয়াইড।
ওয়ানডেতে অবশ্য ওই সময়ের পর ওয়াইডের নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। কোনো নো ছাড়া এই সময়ে সবচেয়ে বেশি বল করার রেকর্ড পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজের। ৭০৭৬টি বল করে হাফিজ একটাও নো দেননি (অবশ্য ৮৫টি ওয়াইড দিয়েছেন)। রবি শাস্ত্রী ৬৬১৩টি বল করেছিলেন নো ছাড়া (ওয়াইড দিয়েছিলেন মাত্র একটি)। টেস্টে সেই কীর্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অফ স্পিনার ল্যান্স গিবসের,২৭১১৫টি বলের ৭৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে কোনো নো বা ওয়াইড নেই। ডেরেক আন্ডারউড (২১৮৮৬ বল) বা ক্যারিবিয় কিংবদন্তি স্যার গ্যারি সোবার্স (২১,৫৯৯ বল) টেস্টে কখনো নো বা ওয়াইড দেননি। এখানে অবশ্য একটা বলে রাখা ভালো, ওয়াইড-নোয়ের হিসেব পাকাপাকিভাবে রাখা শুরু হয়েছিল ১৯৮০ সাল থেকে। তার আগে হয়তো একটু সেদিক হতে পারে।
তবে এত কিছুর মধ্যে বাংলাদেশও একটা রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে সেমিফাইনালে ১ উইকেট হারিয়েই জিতে গেছে ভারত। ওই ম্যাচে কোনো অতিরিক্ত রান দেয়নি বাংলাদেশ। কোনো অতিরিক্ত রান না দিয়ে সবচেয়ে বেশি রান খরচ করার এটাই রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালে স্কটল্যান্ডের ২২৯ রানের ইনিংসে কোনো অতিরিক্ত দেননি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বোলাররা।
(সূত্রঃ আস্ক স্টিভেন)