কুকের ডাবলে ইংল্যান্ডের হাতেই লাগাম
ইংল্যান্ড ৫১৪/৮ ডিক্লে., ১৩৫.৫ ওভার(কুক ২৪৩, রুট ১৩৬, মালান ৬৫, চেজ ৪/১১৩, রোচ ২/৮৬, কামিন্স ১/৮৭)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৪/১, ১৬ ওভার(হোপ ২৫*, পাওয়েল ১৮*, অ্যান্ডারসন ১/১৭)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ৪৭০ রানে পিছিয়ে
গালিতে ফিল্ডার ছিল না, থার্ডম্যান মিস করে গেলেন। উল্লাসে ভেসে গেলেন না অ্যালেস্টার কুক, মুখে ভেসে উঠলো এক চিলতে হাসি। চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরিটা হয়ে গেছে মিসফিল্ডিংয়ে পাওয়া চার দিয়েই। চাইলে এজবাস্টন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থাটা বুঝে নিতে পারেন এ চিত্র থেকেই। কুকরা হাসছেন, উইন্ডিজ কোণঠাসা।
ডেভিড মালানকে নিয়ে অপরাজিত ছিলেন, দেড়শ পেরিয়ে দুইশ ডাকছিল কুককে। কুক সে ডাকে সাড়া দিলেন, নিজের প্রথম টেস্ট ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে পারলেন না মালান। দিনের প্রথম স্পিনার হিসেবে বল করতে আসা চেজের বলে ক্যাচ দিলেন ব্ল্যাকউডকে, স্লিপে।
বিলাসি শট খেলতে গিয়ে আউট স্টোকসও, রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে স্লিপেই দিলেন ক্যাচ, চেজের বলেই। শট খেলতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে আনলেন বেয়ারস্টো, অধিনায়ক হোল্ডারের প্রথম সাফল্য।
মইন এলেন, কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন শীঘ্রই, কোনও রান না করেই। কুককে ডাকছিল প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি, কিন্তু সঙ্গীর অভাবে সেটা পড়ে গেল শঙ্কায়! সে শঙ্কা মুছে দিলেন কুক নিজেই, শেষ ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলেন তিনিই। চেজের বলটা ফ্লিক করতে গিয়ে মিস করে গেল তার ব্যাট, আউট দিতে মিস হয়ে গেল আম্পায়ার মারাই এরাসমাসেরও। রিভিউ নিয়ে কুকের উইকেটের দেখা পেল উইন্ডিজ, কুক উঠে এলেন সঙ্গী টবি রোল্যান্ড-জোনস ও পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সঙ্গী করেই। রুট ঘোষণা করে দিয়েছেন ইনিংস।
কুক, রুট বা মালানের বিপক্ষে উইন্ডিজ বোলাররা যেটা করতে পারেননি, জিমি অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড করে দেখালেন সেটাই। ড্রাইভের প্রলোভন দেখিয়ে এগিয়ে আনলেন, গোলাপি বলের বিলম্বিত সুইং বিভ্রান্ত করলো ব্যাটসম্যানদের। বেশি বিভ্রান্ত হলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, ৮ বলে শূন্য করে ক্যাচ দিলেন বেয়ারস্টোকে, অ্যান্ডারসনের বলে। চা-বিরতির আগে উইকেট পেতে পারতেন ব্রডও, গালিতে কাইরন পাওয়েলের ক্যাচ রাখতে পারেননি স্টোকস। ব্রড উইকেট পেতে পারতেন বিরতির পরও, তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ নাগালে নিতে পারেননি মইন, ব্যাটসম্যান ছিলেন হোপ।
৯ ওভারে ১৩ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিরলো আরও পরিণত হয়ে। স্ট্রাইক বদলানোর আভাস আগেই দিয়েছিলেন দুই ব্যাটসম্যান, এবার মারলেন বাউন্ডারি। পরের ৭ ওভারে এলো ৩১ রান। এলো বৃষ্টিও। যে বৃষ্টি আসি আসি করছিল সকাল থেকেই, ঝুম নামলো সেটাই। এজবাস্টনে আর খেলাই হলো না।
যেটুকু হলো, তার অনেকাংশ জুড়ে থাকলেন অ্যালেস্টার কুক। আর থাকলো তার ডাবল সেঞ্চুরি।