• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    ইচ্ছা করেই চট্টগ্রামে 'নিরাপদ' উইকেট?

    ইচ্ছা করেই চট্টগ্রামে 'নিরাপদ' উইকেট?    

    ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনেই মুশফিকুর রহিম খুব জোর দিয়েই বলেছিলেন, দ্বিতীয় টেস্টে ড্র করার জন্য খেলবে না বাংলাদেশ, জয়টাই একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দুই দিনের পোস্ট মর্টেম বলছে, মিরপুরের মতো চট্টগ্রামের উইকেট অন্তত স্পিন-মৃগয়া নয়, অনেকটাই প্রথাগত উপমহাদেশীয় উইকেট। যেখানে ফলের চেয়ে নিষ্ফলা ম্যাচের সম্ভাবনাই বেশি। ড্যারেন লেম্যান যেমন তা বলে গেলেন, নাসির হোসেনও স্বীকার করলেন উইকেট থেকে খুব একটা সুবিধা পাচ্ছেন না বাংলাদেশের বোলাররা।

    প্রথম দিন শেষে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরেই নাথান লায়ন বলে গিয়েছিলেন, তাঁর ক্যারিয়ারে এত খাটুনি খুব কম দিনেই গেছে। দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বোলাররা সেটি নিশ্চয়ই হাড়ে হাড়েই টের পেয়েছে। উইকেটে খুব একটা টার্ন নেই। লায়ন তাঁর বেশিরভাগ উইকেটই পেয়েছেন সোজা হয়ে আসা বলে। এমনকি স্মিথ তাইজুলের যে বলে বোল্ড হয়েছেন, সেটিও জোরের ওপর আসা সোজা বল। টার্নের জন্য খেলতে গিয়েই বিভ্রান্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।  

    ম্যাচ শেষে লেম্যানও স্বীকার করলেন, চট্টগ্রামে আরেকটু বেশি টার্ন আশা করেছিলেন, ‘প্রথম টেস্ট থেকে এই উইকেট অনেকটাই আলাদা। কিন্তু এটা আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। বাংলাদেশ নিশ্চয় এটাই করতে হয়েছে, সেটা তাদের অধিকারের মধ্যেই পড়ে। হ্যাঁ, আমি আরেকটু বেশি টার্ন আশা করেছিলাম। প্রথম টেস্টে টার্ন আরও বেশি ছিল। এখন পর্যন্ত সেটা খুব বেশি দেখিনি।’ তবে লেম্যান মনে করিয়ে দিলেন, দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই উইকেট এমন থাকবে না, ‘আমার মনে হয় ম্যাচ গড়ানোর সাথে সাথে উইকেট ভাঙতে থাকবে। আর বেশি উপমহাদেশের উইকেটের মতো আচরণ করতে থাকবে।’

    নাসিরও ম্যাচ শেষে জানালেন, উইকেট থেকে সেভাবে সাহায্য পাননি স্পিনাররা, ‘মিরপুরে বেশ সাহায্য ছিল বোলারদের জন্য। এখানে তেমন বাউন্স পাচ্ছে না বোলাররা। আর স্টাম্পের বল তেমন টার্ন করছে না। বাইরে যে জায়গায় রাফ হয়ে গেছে, সেখানে টার্ন হচ্ছে। স্টাম্পের বল টার্ন করলে লাভ হতো।’

     

    তাহলে কি প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের রানটা কম হয়ে গেছে? নাসির স্বীকার করলেন, এই উইকেটে অন্তত ৪০০ করা উচিত ছিল, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যে রকম উইকেট, তাতে আমার মনে হয় আমরা ১০০ থেকে ১৫০ রান কম করে ফেলেছি। আমাদের অন্তত ৪০০ থেকে ৪৫০ রান করা উচিত ছিলো। ’

    সেটা হলে দিন শেষে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসের দূরত্ব ৮০ রানে নিয়ে আসতে পারে ন। তার চেয়েও বড় কথা, মুশফিকের ‘সেফ-ক্রিকেট’ না খেলার ঘোষণাটাও যেন এখন খুব যৌক্তিক মনে হচ্ছে না। প্রথম ইনিংসে যে বাংলাদেশ অন্তত ৪০০ করতে পারেনি, সেটার জন্য তো ব্যাটসম্যান দের ব্যর্থতাই বেশি। যেটির জন্য ম্যাচ শেষে দিতে হতে পারে চড়া মূল্য।