এবার আর ছয়ের হুংকার দিলেন না গেইল
গত বার বিপিএলে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে খেলার আগেই হুংকার দিয়েছিলেন, চার ম্যাচে ৫৫ ছয় মারবেন। শেষ পর্যন্ত মারতে পেরেছিলেন ১০ ছয়, সাকুল্যে রান করেছিলেন ৯১। ক্রিস গেইল এবার রংপুর রাইডার্সের হয়ে এসেছেন, কিন্তু গত বারের মতো এমন কোনো ‘ঘোষণাই’ দিলেন না। বরং স্বভাববিপরীতভাবে বললেন, নির্দিষ্ট কোনো ছয়ের লক্ষ্য নিয়ে এবার আসেননি।
আগের দিন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এসে বলে গিয়েছিলেন, গেইলকে স্ট্রাইক দিয়ে শুধু ছয় দেখতে চান। কথাটা রসিকতা করেই বলা, তবে গেইল আজ মিরপুর একাডেমিতে অনুশীলনে অনেকটাই সিরিয়াস। ছয়ের লক্ষ্য জানতে চাওয়া হলে শুধু বললেন, ‘আমি আসলে কোনো টুর্নামেন্টের আগে ছয় কয়টা হবে তা ঠিক করে মাঠে নামি না। আশা করি কাল একটা ভালো শুরু হবে, ছন্দটা আমি ফিরে পাব।’ আগামীকাল কুমিল্লার সঙ্গে ম্যাচেই মাঠে নামার কথা গেইল-ম্যাককালামের।
বিপিএলে এর আগেও অনেক বার খেলে গেছেন। সবচেয়ে বেশি রান, সবচেয়ে বেশি ছয়ের রেকর্ডও তাঁর। এবার সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে, গেইলের পর টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান যাঁর। গেইল জানেন, দুজনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে, ‘আমরা সবাই জানি ম্যাককালাম কতটা আগ্রাসী হতে পারে। এর আগে আইপিএলে আমরা এক সাথে খেলেছি। ওর সঙ্গে ওপেন করতে পারাটা দারুণ একটা ব্যাপার। মাঠে নামলেই অনেকে আমাদের কাছ থেকে ধুন্দুমার কিছু চাইবে। কাজটা কঠিন, তবে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের ওপর চাপও অনেক। আশা করি, আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’
নিজের ব্যাটিং দর্শনটাও ব্যাখ্যা করব, ‘ম্যাককালাম আর আমার কাছ থেকে সবাই মার মার কাট কাট কিছু দেখতে চাই। এই ব্যাপারটা আমরা জানি, মানুষ যে গলা ফাটাবে সেটাও জানি। দারুণ একটা শুরু পেলে ভালোই হবে, মানুষজন তখন আরও বেশি রোমাঞ্চিত হবে। আর মানুষকে বিনোদন দেওয়াই তো আমার কাজ। ওরা মাঠে টাকা খরচ করে আসে বিনোদন নিতে। কখনো কখনো সেটা করতে গিয়ে আমি হয়তো বিপদে পড়ে যাই, ফাটকাটা কাজে আসে না ঠিকমতো। কিন্তু যখন আসে, তখন সেটা দারুণ কিছু হয়।’
তবে রংপুর যে শুধু ম্যাককালাম বা গেইলের ওপর নির্ভরশীল নয়, তাও মনে করিয়ে দিলেন, ‘আমাদের দলে আমি বা ম্যাককালাম ছাড়াও আরও খেলোয়াড় আছে। মুর্তজার নেতৃত্বে দলটা বেশ অভিজ্ঞ, বেশ কিছু ভালো বোলার আছে। বোপারার মতো খেলোয়াড়ও আছে। আমরা দুজন ছাড়াও এখানে আরও বেশ কিছু ম্যাচ উইনার আছে। সবকিছু শুধু আমাদের দুজনের ওপর নির্ভর করবে না। ’
আগামীকাল কুমিল্লার সঙ্গে ম্যাচেই জানা যাবে গেইল কতটা কথা রাখতে পেরেছেন।