• অ্যাশেজ ২০১৭-১৮
  • " />

     

    স্মিথ-(মিচেল) মার্শে পিষ্ট ইংল্যান্ড

    স্মিথ-(মিচেল) মার্শে পিষ্ট ইংল্যান্ড    

    ৩য় টেস্ট, পার্থ 
    ৩য় দিনশেষে 
    টস- ইংল্যান্ড (ব্যাটিং)
    ইংল্যান্ড ৪০৩ অল-আউট (মালান ১৪০, বেইরস্টো ১১৯, স্টার্ক ৪/৯১, হ্যাজলউড ৩/৯২)
    অস্ট্রেলিয়া ৫৪৯/৪ (স্মিথ ২২৯*, মিচেল মার্শ ১৮১*, ওভারটন ২/১০২, মইন ১/১০৪)
    অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেট নিয়ে ১৪৬ রানে এগিয়ে


    আধিপত্য। অস্ট্রেলিয়ান আধিপত্য। এই অ্যাশেজে আধিপত্য বিস্তার করছে অস্ট্রেলিয়াই, তবে পার্থের তৃতীয় দিন যেন ছাড়িয়ে গেল সবকিছু। স্টিভেন স্মিথের ডাবল সেঞ্চুরির দিনে মিচেল মার্শ করেছেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি উঁকি দিচ্ছে তাকেও। একদিনে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৩৪৬ রান, হারিয়েছে ১ উইকেট। আগেরদিন ২০০ রানে পিছিয়ে থাকা তারাই এখন এগিয়ে ১৪৬ রানে। পার্থে কাল পূর্বাভাস আছে বৃষ্টির, তবে তার আগেই হাবুডুবু খাচ্ছে ইংল্যান্ড। আক্ষরিক অর্থেই তাদের সামনে এখন অকূল পাথার। 

    সেই পাথারটা গড়ে তুলেছেন স্মিথ-মার্শ। ক্যারিয়ারে টানা চতুর্থবার এক পঞ্জিকাবর্ষে ১০০০ রান ছাড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক, করেছেন ক্যারিয়ারের দ্রুততম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন, গড়েছেন সর্বোচ্চ স্কোরও। জো রুটের কোনও পরিকল্পনায় কাজে আসেনি তার বিপক্ষে। কয়েকটা ‘এজ’ হয়েছে, তবে আলতো হাতে খেলেছেন বলে সেগুলো পড়েছে স্লিপ-কর্ডনের আগেই। আর জেমস অ্যান্ডারসনের বলে রিভিউ বিফলে গেছে নো বল হওয়াতে। অবশ্য সেটা না হলেও বল ট্র্যাকিংয়ে আম্পায়ারস কলে বেঁচেই যেতেন স্মিথ। 

    ফুললেংথের বলে স্মিথ ড্রাইভ করেছেন দারুণভাবে, গুডলেংথের বলেও তার পাঞ্চ শেষ পর্যন্ত হয়ে গেছে ড্রাইভ। কাভার ড্রাইভ বা ফ্লিক- স্মিথ আসলে যেদিকে চেয়েছেন খেলেছেন সেদিকেই। গ্যাবায় ক্যারিয়ারে সবচেয়ে ধীরগতির সেঞ্চুরি করেছিলেন, পার্থে করলেন দ্রুততম। কন্ডিশন পড়তে ও সে অনুযায়ী খেলতে স্মিথের চেয়ে ভাল এখন আর কোন ব্যাটসম্যান আছে, সেটা খুঁজে বের করা বেশ কঠিন কাজই বটে। 

     

     

    মিচেল মার্শ অবশ্য বেশি খেলেছেন ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে। ফ্লিক করে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে তার। চা-বিরতির আগে শেষ ওভারে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন মার্শ, গ্যালারিতে বাবা, ড্রেসিংরুমে ভাইকে সাক্ষী রেখেই করেছেন গর্জন। শন মার্শ, টিম পেইনের পর এই টেস্টে মিচেল মার্শ- অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকদের সব আলোচিত-সমালোচিত সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হলো সঠিক হিসেবে। অ্যাশেজে স্মিথদের মতো তাদেরও সময়টা যাচ্ছে দারুণ। 

    দিনে ইংল্যান্ড একমাত্র উদযাপনের উপলক্ষ্য পেয়েছিল শন মার্শের উইকেটে। মইন আলির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন মিচেলের বড় ভাই। এরপর শুধু বোলিং-ই করে গেছেন ব্রডরা। পরিষ্কারভাবেই ইংলিশ বোলারদের মাঝে ছিল গতির অভাব, তাদের ব্যাটসম্যানরা যে শর্ট বলে কাবু হয়েছেন, সেটাও তাই ফিরিয়ে দিতে পারেননি স্মিথ-মার্শদের। দিনশেষে তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৩০১ রানের, স্মিথ এর আগে এত বড় কোনও জুটির অংশ ছিলেন না। 

    স্মিথ-মার্শদের রানের কলামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ইংলিশ বোলারদের খরচের খাতাও। ব্রড, ওভারটন, ওকস, মইন- সেঞ্চুরি হয়ে গেছে সবারই, ৮৫ রান দিয়ে কাছাকাছি আছেন অ্যান্ডারসনও। তিনি ১০০ রান দিয়ে ফেললে টেস্টের একই ইনিংসে পাঁচ বোলারের ‘সেঞ্চুরি’ মারার ৮ম ঘটনা হবে এটি।