চারদিনের টেস্ট পাঁচ সেশনেই জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০৯/৯ ডিক্লে (মার্করাম ১২৫, জারভিস ৩/৫৭)
জিম্বাবুয়ে ৬৮ (মরকেল ৫/২১) ও ১২১ (মহারাজ ৫/৫৯)
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ১২০ রানে জয়ী
রোমাঞ্চ আনতে টেস্ট আনা হলো চারদিনে। তাও আবার দিবা-রাত্রির, একদিনে ৯৮ ওভার। জিম্বাবুয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে খেললো ৭২.৪ ওভার। চারদিনের টেস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলো দ্বিতীয় দিনেই, দ্বিতীয় সেশনের মাঝেই। রোমাঞ্চ কতোখানি ভর করলো পোর্ট এলিজাবেথে, সেটা নির্ধারণ করার দায়ভার নাহয় আপনিই নিন!
আগেরদিন গোধূলির বিভীষিকা সামলাতে ৪ উইকেট গিয়েছিল জিম্বাবুয়ের। আজ বাকি ছয়টি গেল ৫৪ রানের মাঝে, মরনি মরকেল ৫ উইকেট পেলেন ২০১২ সালের নভেম্বরের পর। ৬৮ রানে নিজেদের পঞ্চম সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে, দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র দুইজন। রাবাদা ও ফেহলুকায়ো নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট, একটি ফিল্যান্ডারের ভাগে। স্পিনার কেশভ মহারাজ বলই করেননি। ও, কে কিভাবে আউট হয়েছেন? হয় বোল্ড, নাহয় এলবিডাব্লিউ, নাহয় উইকেটের পেছনে উইকেটকিপার, স্লিপ বা গালির হাতে ক্যাচ। মানে জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা পেস বুঝে উঠতে পারেননি, সুইং তো আরও না। ইন-ফ্রন্ট অব স্কয়ারে খেলে আউট হওয়ার ভাগ্যও হয়নি তাদের।
ফলো-অনে পড়ে নতুন শুরুর আভাস দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। চোট পেয়ে উঠে গিয়েছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ৭ রানে। চামু চিভাবা ও ক্রেইগ এরভিন স্কোরকে নিয়ে গেলেন ৫৪ রান পর্যন্ত। রাবাদার অতিরিক্ত বাউন্সে পরাস্ত চিভাবা, ক্যাচ দিলেন ডি ভিলিয়ার্সকে। সেই শুরু। আর ৬৭ রান যোগ করতেই অল-আউট জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসের সঙ্গে এবারের বড় পার্থক্য, এবার মূল হন্তারক স্পিনার কেশভ মহারাজ। তিনি নিয়েছেন ৫ উইকেট। তিনজন বোল্ড হয়েছেন, একজন এলবিডাব্লিউ। চারজন দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্সকে ক্যাচ। বাকি দুইজনও ক্যাচ দিয়েছেন।
পোর্ট এলিজাবেথে কাল সন্ধ্যার পর দর্শকরা কম্বলমুড়ি দিয়ে বসেছিলেন, আজ সঙ্গে কম্বল আনলে সেই সুযোগটাও পেলেন না। বিউগলে সুর ভাসছিল, জিম্বাবুয়ের কানে যা ঠেকছিল করুণ হয়ে। আর আফ্রিকা ভাসছিল উৎসবে। মাঝ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে কী সুর উঠলো সেটাই শুধু নিশ্চিত নয়।