• বিগ ব্যাশ লিগ
  • " />

     

    শেষ হইয়াও হইল না শেষ!

    শেষ হইয়াও হইল না শেষ!    

     

    শেষ বলে দরকার ৩ রান। স্ট্রাইকে থাকা সিডনি সিক্সার্সের সারাহ আলী নিতে পারলেন এক রান। মেলবোর্ন রেনেগ্যাদের ফিল্ডার বল ধরে ছুড়ে মারলে উইকেটরক্ষক এমা ইংগলিসের হাতে। বল হাতে নিয়েই জয় উজদাপন শুরু করে দিলেন এমাসহ দলের সবাই। উদযাপনের এক পর্যায়ে লক্ষ্য করলেন, দুই ব্যাটসম্যান রান নেওয়ার জন্য দৌড়াচ্ছেন! কিছু বুঝে ওঠার আগেই আরও একটি রান নিয়ে খেলা সুপার ওভারে নিয়ে যায় সিডনি। অদ্ভুত এই কান্ডটি ঘটেছে প্রমীলা বিগ ব্যাশ লিগে।

     

     

     

    ১২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সিডনির ব্যাটসম্যানরা খেলা নিয়ে গিয়েছিল শেষ ওভারে। ১ বলে যখন ৩ রান দরকার, বোলার অ্যামি স্যাটারথওয়েট বলটা ফেললেন একদম ব্যাটসম্যানের পায়ের কাছে। কোনোমতে ব্যাটে লাগিয়ে একটি রানই নিতে পারলেন সারাহ। ১ রানের জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে, এই ভেবে তখন আনন্দে আত্মহারা মেলবোর্ন। সিডনির দুই ব্যাটসম্যান এই ‘সুযোগ’ কাজে লাগিয়ে দিলেন দৌড়, দুই দলের স্কোর হলো সমান, খেলা গেলো সুপার ওভারে।

     

    ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যাওয়া মেলবোর্ন ক্রিকেটাররা সাথে সাথেই আম্পায়ারের কাছে দৌড়ে যান। তাঁদের দাবি, ম্যাচ তো শেষ, তাহলে ব্যাটসম্যান রান নিলেন কেনো! দুই আম্পায়ার অনেকক্ষণ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেন যে, খেলা সুপার ওভারেই গড়াবে। খেলা শেষ হওয়ার আগেই উদযাপনের মাশুল দিতে হলো উইকেটকিপার এমাকে।

     

    আইসিসির ২০ নম্বর ধারা বলছে, বলটি ‘ডেড’ হয়েছে কিনা সেটা শুধুমাত্র আম্পায়ারই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। যদি আম্পায়ারের মনে হয় যে ওই বলে নেওয়া রান বাতিলের দরকার নেই, তাহলে সেই রান যোগ হবে। যেহেতু মেলবোর্নের ফিল্ডাররা উইকেটরক্ষকের কাছে বল ছুড়ে মেরেছেন, তাই বলটি ডেড হিসেবে গণ্য হয়নি, ব্যাটসম্যানের নেওয়া রানও যোগ হয়েছে।

     

    সুপার ওভারে অবশ্য ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে মেলবোর্নের মেয়েরা।