• অ্যাশেজ ২০১৭-১৮
  • " />

     

    দ্য অ্যাশেজ : অস্ট্রেলিয়া ৪-০ ইংল্যান্ড

    দ্য অ্যাশেজ : অস্ট্রেলিয়া ৪-০ ইংল্যান্ড    

    ৫ম টেস্ট, সিডনি
    টস- ইংল্যান্ড (ব্যাটিং)
    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ৩৪৬ (রুট ৮৩, মালান ৬২, কারান ৩৯, কামিন্স ৪/৮০, হ্যাজলউড ২/৬৫) ও ২য় ইনিংস ৯৩/৪* (রুট ৪২*, লায়ন ৩১) ও ইংল্যান্ড ১৮০ (রুট ৫৮, কামিন্স ৪/৩৯, লায়ন ৩/৫৪) 
    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ৬৪৯/৭ (খাওয়াজা ১৭১, শন মার্শ ১৫৬, মিচেল মার্শ ১০১, অ্যান্ডারসন ১/৫৬, মইন ২/১৭০)
    অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ১২৩ রানে জয়ী 


    পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চ। মাঝে অ্যাশেজের ভস্মাধারের প্রতিকৃতি। দুইদিকে দুইটা হাত। অস্ট্রেলিয়ার পতাকা অঙ্কিত হাত দেখাচ্ছে ‘চার’ সংখ্যাটা। আর ইংল্যান্ডেরটা হাতটা মুঠোবন্দি করে রাখা। অর্থ- অস্ট্রেলিয়া ৪, ইংল্যান্ড ০! অ্যাশেজের ফল তো এমনই। 

    ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা প্যাট কামিন্স। ৬৮৭ রান নিয়ে সিরিজসেরা স্টিভেন স্মিথ। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান স্কোরার ডেভিড মালানের চেয়ে স্মিথ এগিয়ে ৩০৪ রানে। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কামিন্স গেলেন, স্মিথ গেলেন- শুধু যেতে পারলেন না জো রুট। অসুস্থতা নিয়ে সকালেই ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। রুটের জায়গায় কথা বলতে গেলেন সহ-অধিনায়ক জেমস অ্যান্ডারসন। এ অ্যাশেজ যেন ফুটে উঠছে এ চিত্রগুলো দিয়েই! 

    আগেরদিন অপরাজিত ছিলেন রুট ও জনি বেইরস্টো। সকালে বেইরস্টোর সঙ্গে নামলেন মইন আলি, যিনি পরে এলবিডাব্লিউ হলেন ন্যাথান লায়নের বলে। এ সিরিজে ৭ম বার লায়নের শিকার আলি। রুট এরপর নামলেন, ফিফটি করলেন। তবে লাঞ্চের পর নামতে পারলেন না আর। অস্ট্রেলিয়ার তখন সময়ের অপেক্ষা। কামিন্সের বলে এলবিডাব্লিউ বেইরস্টো। একই বোলারের শর্ট বলে ক্যাচ তুলেছেন ব্রড, শর্ট বলে পরাস্ত ম্যাসন ক্রেইনও। অ্যান্ডারসনও ক্যাচ দিলেন পেছনে, টিম পেইনকে, জশ হ্যাজলউডের বলে। রিভিউ করতে চেয়েছিলেন, তবে ইংল্যান্ডের ভাঁড়ার তখন শূন্য। 

    অস্ট্রেলিয়ার উদযাপন তখন শুরু হয়ে গেছে। অ্যাশেজ ফিরে পাওয়ার আনন্দ হয়ে গেছে পার্থে, যেটুকু বাকি ছিল সেটাই হলো সিডনিতে। ১৯৯৩ সালের পর অ্যাশেজের সব টেস্টই গড়ালো পঞ্চম দিন পর্যন্ত। তবে আদতে সিরিজটা কি হলো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ? 

    খন্ড খন্ড লড়াইয়ের কয়েকটিতে জিতেছে ইংল্যান্ড। তবে সব মিলিয়ে আধিপত্য অস্ট্রেলিয়ার। আধিপত্য স্মিথের, তার সৈনিকদের। যেখানে হাত মেলে ধরে ফল দেখাতে পারছে অস্ট্রলিয়া। আর পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুধু ইংল্যান্ড!