• পাকিস্তান সুপার লিগ ২০১৮
  • " />

     

    তামিম-সাব্বির না পারলেও পেরেছেন স্যামি

    তামিম-সাব্বির না পারলেও পেরেছেন স্যামি    

    কাজটা শেষ করেই আসতে পারতেন তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান। দুজন যখনহ জুটি বেঁধেছিলেন, জয়ের জন্য পেশোয়ার জালমির ২৮ বলে দরকার ৩৫ রান।কিন্তু দুজনই আউট হয়ে গেলেন, শেষ করে আসতে পারলেন না ম্যাচটা। শেষ পর্যন্ত ড্যারেন স্যামি শেষদিকে নেমেই কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের সাথে নাটকীয় ৫ উইকেটের  জয় এনে দিয়েছেন জালমিকে। চার ম্যাচে এটি জালমির দ্বিতীয় জয়।

    সাকিব আল হাসানের বদলি হিসেবে উড়ে যাওয়ার পর কালই প্রথম মাঠে নামার সুযোগ পেলেন সাব্বির। মাহমুদউল্লাহ আগের ম্যাচ খেললেও কাল কোয়েটার প্রথম একাদশে ছিলেন না। তামিম অবশ্য খেলেছেন সব ম্যাচই। কালও মনে হচ্ছিল, দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়বেন। দলের ১০৭ রানে যখন মোহাম্মদ হাফিজ আউট হয়ে গেলেন, জয়টা জালমির হাতছানি দূরত্বেই। কিন্তু সাব্বির আর তামিম মিলে যোগ করতে পারলেন ৫ রান। ডাবল নিতে গিয়ে তামিম যখন রান আউট হয়ে গেলেন, তাঁর রান তখন ৩৮ বলে ৩৬।

    ১৪২ রানের লক্ষ্যটা তখনও খুবই সহজ ছিল জালমির হাতে। কিন্তু সাব্বির আর উসমান মিলে সেটি হঠাৎ করেই বানিয়ে ফেললেন কঠিন। শেষ ৩ ওভারে ২৮ রান দরকার ছিল জালমির। ১৯ তম ওভারে সাব্বির রাহাত আলীর বলে চার মেরে চাপটা একটু কমালেন। কিন্তু পরের ফুলটস বলটাতেই সোজাসুজি ক্যাচ তুলে দিলেন ডিপ মিডউইকেটে। ১১ বলে ১১ রান করে সাব্বির যখন আউট হলেন, জালমির তখনও ৯ বলে দরকার ১৭ রান।

    মুখোমুখি প্রথম বলেই ছয় মেরে সেই চাপটা কমিয়ে আনলেন স্যামি। শেষ ওভারে জালমির দরকার ১০ রান, আরেকটি ছয়ে ম্যাচটা স্যামি নিয়ে আনলেন নিজের মুঠোয়। তখন অবশ্য পায়ের ব্যথায় হাঁটতে পারছিলেন না। ওই অবস্থাতেই চার মেরে দুই বল বাকি থাকতেই জেতালেন দলকে।

    তার আগে দুই উইকেট নিয়ে বোলিংয়েও অবদান রেখেছেন স্যামি। শেন ওয়াটসন ৩২ বলে ৪৭ রান করে কোয়েটার হয়ে যা একটু লড়েছেন। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় তাদের রান শেষ পর্যন্ত ১৪১ এর বেশি হয়নি।