হায়দরাবাদের জয়ে অভিষেকটা রাঙালেন সাকিব
রাজস্থান ১২৫/৯, ২০ ওভার
হায়দরাবাদ ১২৭/১, ১৫.৫ ওভার
হায়দরাবাদ ৯ উইকেটে জয়ী
টসের শুরুতেই কেন উইলিয়ামসন একটা ভজকট পাকিয়ে ফেলেছিলেন। হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের চার বিদেশীর নাম বলার সময় সাকিব আল হাসানের নামটাই ভুলে গেলেন বেমালুম। পরে অবশ্য সেটি মনে করতে পারলেন, আসলে মনে করিয়ে দিলেন রাজস্থান অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। তবে এই ম্যাচ শেষে অন্য বোলারদের সঙ্গে সাকিবকে ভালোমতোই মনে রাখবেন উইলিয়ামসন। নতুন দলের হয়ে অভিষেকেই সাকিব বোলিংটা স্মরণীয় করে রেখেছেন। সাকিবের সঙ্গে অন্য বোলারদের দাপটের পর শিখর ধাওয়ানের অপরাজিত ৭৭ ও উইলিয়ামসনের ৩৬ রানের ইনিংসে ৩৫ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের মতো প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্প তাই লেখা হলো না রাজস্তানের।
সাকিব বল হাতে পেয়েছিলেন ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই। তার আগেই প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস হারিয়ে ফেলেছে এক উইকেট। সাকিবের প্রথম দুই বলে কোনো রান হলো না, তৃতীয় বলে রাহানে নিলেন চার। সেই ওভারে দিলেন ৬ রান, কোনো উইকেট পেলেন না। এরপর পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আবার বল পেলেন সাকিব। এবারও দারুণ আঁটোসাঁটো বোলিং, একটা চার খেলেও ৬ রানের বেশি দিলেন না। এলবির একটা জোরালো আবেদনও ছিল, সাড়া দেননি আম্পায়ার।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপটা পেলে আর কিছু লাগবে না : সাকিব
দশম ওভারে যখন বল করতে গেলেন, রাজস্থান ৬৩ রানে হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট। এই ওভারে সাকিব কোনো বাউন্ডারি দিলেন না বটে, তবে ৮ রান খরচ হয়ে গেল।
তবে সাকিবের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শেষ ওভারে। সঞ্জু স্যামসন ও রাহুল ত্রিপাঠি তখন হাত খুলে খেলছেন, ১৩ ওভারে রাজস্থান তুলে ফেলেছে ৯২ রান। দ্বিতীয় বলে তুলে মারতে গিয়ে ত্রিপাঠি ক্যাচ দিলেন লং অনে। দুই বল পর স্যামসনও মারতে গিয়ে তুলে দিলেন আকাশে, দারুণ ক্যাচ নিলেন রশিদ খান। এক ওভারে সাকিবের দুই উইকেট, চার ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে শেষ করলেন বোলিং।
রাজস্থানও এরপর একের পর এক উইকেট হারিয়েছে। সাকিবসহ উইকেট পেয়েছেন সব বোলারই। সিদ্ধার্থ কৌল নিয়েছেন ২টি, ভুবনেশ্বর কুমার, বিলি স্ট্যানল্যাকে ও রশীদ খান নিয়েছেন ১টি করে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ধুঁকতে ধুঁকতে রাজস্থান ২০ ওভার শেষে করতে পেরেছে ১২৫ রান।
যে লক্ষ্যটা এরপর প্রায় হেসেখেলেই ছুঁয়ে ফেলেছে হায়দরাবাদ। রাজস্থানের মতো ৬ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল তারাও, তবে ঋদ্ধিমান সাহার সেই উইকেটের পর কোনও চাপ আসতে দেননি মূলত ধাওয়ানই। ৫৭ বলে ৭৭ রান করতে মেরেছেন ১টি ছয়ের সঙ্গে ১৩টি চার। বাউন্ডারির পরিসংখ্যানই অনেকখানি বলে দেয়, ধাওয়ানের ইনিংসে ছিল ক্লিন-হিটে পরিপূর্ণ। ওপাশ থেকে বেশ সঙ্গ দিয়ে গেছেন উইলিয়ামসন, ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩৫ বলে ৩৬ রান করে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক।