গেইল ঝড়ে থমকে গেল হায়দরাবাদ, অপেক্ষা বাড়লো সাকিবের
পাঞ্জাব ১৯৩/৩, ২০ ওভার (গেইল ১০৪*, ভুবনেশ্বর ১/২৫)
হায়দরাবাদ ১৭৮/৪, ২০ ওভার (পান্ডে ৫৭*, উইলিয়ামসন ৫৪, সাকিব ২৪*, টায় ২/২৪)
পাঞ্জাব ১৫ রানে জয়ী
ক্রিস গেইল যেদিন স্বরুপে থাকেন, সেদিন অনেককেই অপেক্ষায় থাকতে হয়। সাকিব আল হাসানকেও করতে হচ্ছে। টি-টোয়েন্টিতে গেইলের ২০তম ও আইপিএলে ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরির দিনে হেরেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর। ৪০০০ রান ও ৩০০ উইকেটের ডাবলের জন্যও অপেক্ষা বেড়েছে সাকিবের।
আগের ম্যাচেই ৪০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন সাকিব, এদিন লাগতো শুধু একটি উইকেট। দুই ওভার বোলিং করলেন, রান গুণলেন ২৮, এরপর আর তাকে বোলিংয়ে আনেননি হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। একটা কঠিন সুযোগ পেয়েছিলেন উইকেটের, তবে লাইনে থাকা ফিল্ডার লাফিয়ে উঠে বল ধরে এপারে ছুঁড়ে দিতে গিয়ে মেরেছেন বাউন্ডারির ওপারেই! আর গেইলও ততক্ষণে শুরু করেছেন ঝড়। আফগান লেগস্পিনার রশীদ খান ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৫ রান, স্বান্তনা পেয়েছেন শুধু লোকেশ রাহুলের উইকেটে।
ফিফটি করতে গেইল নিয়েছেন ৩৯ বল, ততক্ষণে ৫টি ছয়ের একটি মেরেছেন সাকিবকে। ৩৯ বলে ৫০ রান, আপাতদৃষ্টিতে ততটা ভয়ঙ্কর না হলেও ব্যাটসম্যানের নাম গেইল বলে আশঙ্কা তো কাটে না ফিল্ডিং সাইডের! ১৪তম ওভারে এলেন রশীদ খান, গেইল মারলেন টানা চার ছয়! পরের ফিফটিটা করতে গেইল খেললেন মাত্র ১৯ বল, শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে অপরাজিত ছিলেন ১০৪ রানে। রাহুল থেকে শুরু করে মায়াংক আগরওয়াল, করুন নায়ার ও অ্যারন ফিঞ্চরা শুধু দর্শক ছিলেন গেইল-শো এর। ১৯৩ রানে থেমেছে পাঞ্জাব এক্সপ্রেস।
বড় লক্ষ্য, অথচ প্রথম ওভারেই চোট পেয়ে উঠে গেলেন শিখর ধাওয়ান, উলটো বড় ধাক্কা খেল তাই হায়দরাবাদ। কেন উইলিয়ামসনের পর ফিফটি করলেন মনীষ পান্ডেও, তবে যথেষ্ট হলো না সেটা। সাত নম্বরে নেমে সাকিব করলেন ১২ বলে ২৪, শেষ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে রবি আশ্বিনকে মারলেন টানা দুইটি ছয়। ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে, হায়দরাবাদের মৌসুমের প্রথম হারটাও তাই আটকাতে পারেননি কেউই।
গেইল যেদিন ঝড় তোলেন, সেদিন হায়দরাবাদ থমকে যায়, সাকিবও অপেক্ষায় থাকেন!