মুম্বাই-আক্রমণ সামলে উঁচুতেই দাঁড়িয়ে গো(ও)থাম
মুম্বাই ১৬৭/৭, ২০ ওভার
রাজস্থান ১৬৮/৭, ১৯.৪ ওভার
রাজস্থান ৩ উইকেটে জয়ী
অনেক আক্রমণের পরও গোথাম টিকে থাকবে। কোনও এক ডার্ক নাইট এসে বাঁচিয়ে দেবেন। জয়পুরে এক ডার্ক নাইট এলেন, গোওথাম নাম নিয়েই।
ক্রিকেটে আপনি মুম্বাইয়ের জাসপ্রিত বুমরাহ, মুস্তাফিজুর রহমান বা হারদিক পান্ডিয়া হয়ে আক্রমণ করতে পারেন, কিন্তু শেষ ওভারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে ওই গোথামই। এই গোথাম ঠিক শহর নয়, ইনি রাজস্থান রয়্যালসের ক্রিকেটার, কৃষ্ণাপ্পা গোওথাম। শেষ ৩ ওভারে ৪৩ রানের এক জটিল সমীকরণ মিলিয়ে জয়পুরকে উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছেন তিনিই, মুম্বাইকে ২ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রাজস্থান।
অথচ ম্যাচ থেকে রাজস্থানকে প্রায় ছিটকেই দিয়েছিলেন বুমরাহ-মুস্তাফিজরা। ২৪ বলে ৪৪ রান প্রয়োজন ছিল, বুমরাহ ১৭তম ওভার করতে এসে নিলেন ২ উইকেট, ৩৮ বলে ৫২ রান করা সাঞ্জু স্যামসন ও ভীতিজাগানিয়া জস বাটলার। বুমরাহ সে ওভারে দিলেন ১ রান।
পরের ওভারে মুস্তাফিজ, মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মার আরেক ভরসার নাম। তিনিও প্রথম বলেই সফল, শূন্য হাতে ফেরালেন হেইনরিখ ক্লাসেনকে, উইকেটকিপার ইষাণ কিষাণ নিলেন দারুণ এক ক্যাচ। তবে শেষ দুই ওভারে গড়বড় করে ফেললেন মুস্তাফিজ, দিলেন ১০ রান। এর আগেই একটি নো-বল দিয়ে করেছেন বাড়তি এক ডেলিভারি।
মুস্তাফিজকে অনুসরণ করলেন বুমরাহ, তিনিও একটি নো-বল দিলেন, মুস্তাফিজের ১৫ থেকে ৩ রান বেশি দিয়ে গুণলেন ১৮ রান! পরের ওভারের প্রথম বলেই নেই জোফরি আর্চার, তবে স্ট্রাইকে গেলেন গোওথাম। এরপরই কেড়ে নিলেন সব আলো, পান্ডিয়ার ওভারের তিন বলে চার-ডট-ছয়ে দাঁড়ালেন মাথা উঁচু করে। খাদের কিনার থেকে উলটো ঘুরে যেন ১০০ মিটারের দৌড়ে স্বর্ণ-পদক জিতে গেল রাজস্থান!
১৬৮ রান-তাড়ায় স্যামসন ও বেন স্টোকসের জুটিতে অবশ্য ঠিকপথেই ছিল রাজস্থান, বুমরাহর ওভারের পর মুস্তাফিজের আঘাতেই যারা পৌঁছে গিয়েছিল কিনারে। ২৩ বলে ৪০ রান করেছেন স্টোকস।
এর আগে মুম্বাইয়ের ইনিংসের উজ্জ্বল দিক দুইটি- সূর্যকুমার যাদবের ৪৭ বলে ৭২ ও কিষাণের ৪২ বলে ৫৮। দ্বিতীয় উইকেটে ১২৯ রান যোগ করেছিলেন, তবে তাদের গড়ে দেওয়া ভিতে তেমন কিছু তুলতে পারেনি মুম্বাই। শেষের আগের ওভারে দুর্দান্ত ছিলেন আর্চার, ৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
তবে আর্চার-স্টোকস-স্যামসন, সব সতীর্থকে ছাপিয়ে সবার ওপরে গো(ও)থামই!