• আইপিএল ২০১৮
  • " />

     

    হায়দরাবাদ বোলারদের কাছে এবার থমকে গেল রাজস্থান

    হায়দরাবাদ বোলারদের কাছে এবার থমকে গেল রাজস্থান    

    হায়দরাবাদ ১৫১/৭, ২০ ওভার (উইলিয়ামসন ৬৩, হেলস ৪৫, আর্চার ৩/২৬) 
    রাজস্থান ১৪০/৬, ২০ ওভার (রাহানে ৬৫, স্যামসন ৪০, কৌল ২/২৩, সন্দীপ ১/১৫) 
    হায়দরাবাদ ১১ রানে জয়ী 


    আইপিএলে এবারের মৌসুমে এর আগের ২৭ ম্যাচে মাত্র দুইবার টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছে কোনও দল। হায়দরাবাদ আজ তৃতীয়বার করলো এমন। সব দল যখন রান তাড়া করায় আত্মবিশ্বাসী, হায়দরাবাদের বিশ্বাস তখন বোলারদের ওপর। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, ডেথ বোলিংয়ের ওপর। হায়দরাবাদের বোলাররা হতাশ করলো না তাদের, যে ভেন্যুতে খেলা, টানা তৃতীয়বারসেখানকার প্রথম ইনিংসের গড় স্কোরের চেয়ে কম রান করে জিতল তারা। ১৫১ রান করে রাজস্থানকে এবার ১১ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চলে গেছে সাকিবদের দল। 

    ১৫২ রানের লক্ষ্য, আজিঙ্কা রাহানে ও সাঞ্জু স্যামসনের ব্যাটিংয়ে ঠিক পথেই ছিল রাজস্থান। তবে হায়দরাবাদের বোলাররা এলোমেলো করে দিলেন সব। যে বাসিল থামপি শেষ ওভার করলেন, তিনি এর আগে ১ ওভার বোলিং করে দিয়েছিলেন ১৭ রান। তবুও আসলেন তিনিই, দিলেন ৯ রান। সঙ্গে নিলেন গোওথামের উইকেটও। 

    ভুবনেশ্বর কুমারের অভাবটা বুঝতেই দিচ্ছেন না সন্দীপ শর্মা ও সিদ্ধার্থ কৌলরা। আজ দুই পেসার মিলে ৮ ওভারে দিয়েছেন ৩৮ রান, নিয়েছেন ৩ উইকেট। সে তুলনায় একটু ম্লান হায়দরাবাদের স্পিন-জুটি রশীদ খান ও সাকিব। দুইজন মিলে দিয়েছেন ৮ ওভারে ৬১ রান, ভাগে গেছে ১টি উইকেট। থামপিকে ব্যাক-আপ দিতে দুই ওভার করেছেন ইউসুফ পাঠানও। 

    এর আগে হায়দরবাদের ব্যাটিংয়ে পুরোনো চিত্রই। শিখর ধাওয়ানের উইকেটের চাপ সামাল দিয়ে ভিত গড়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন ও এবার আইপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা অ্যালেক্স হেলস। ১১.১ ওভারে দুইজন মিলে যোগ করেছেন ৯২ রান, হেলস ৩৯ বলে ৪৫ রান করে গোওথামের বলে ক্যাচ দিয়েছেন স্যামসনকে। সোধির নিচু হওয়া বলে কট-বিহাইন্ড কেন উইলিয়ামসন, হায়দরাবাদের ব্যাটিং স্তম্ভ আজ করেছেন ৪৩ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৬৩ রান। 

    তবে এরপর আর পরের গিয়ারে যাওয়া হয়নি তাদের। লাগাম টেনে ধরেছেন জোফরা আর্চার। ইয়র্কারে ব্যাট ঠেকিয়েও স্টাম্প রক্ষা করতে পারেননি সাকিব, বাউন্সারে আপার-কাট করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন ইউসুফ পাঠান। ১৫১ রানেই থামতে হয়েছে হায়দরাবাদকে। 

    তবে আবারও প্রতিপক্ষর জন্য যথেষ্ট হয়েছে সেটাই। মজার ব্যাপার হলো, এ পর্যন্ত যে দুই ম্যাচে হেরেছে হায়দরাবাদ, সে দুই ম্যাচেই সবচেয়ে বেশি দলীয় স্কোর তাদের। ব্যাপারটা এমন, কম রান করলেই জেতে হায়দরাবাদ। তাদের বোলিং আক্রমণ যে এমনই দুর্দান্ত!