ফর্মের কারণে খেলা থেকে বিরতি, কোচিংয়ে মনোযোগ
বিলি বিন দারুণ মেধাবি বেসবল খেলোয়াড় ছিলেন, স্কাউটরা দেখেছিলেন অশেষ সম্ভাবনা। তবে খেলাটা ঠিক চালিয়ে যেতে পারলেন না, হতাশ হয়ে খেলা ছেড়ে দিয়ে ফ্রন্ট-অফিসে যোগ দিলেন ২৭ বছর বয়সেই। সেখান থেকে জেনারেল ম্যানেজার, এরপর দারুণ এক থিওরিতে দল বানিয়ে কাঁপিয়ে দিলেন বেসবল। বিনকে নিয়ে বই লেখা হয়েছে, পরে সিনেমাও হয়েছে- “মানিবল”। ইংল্যান্ড ও ল্যাঙ্কাশায়ার স্পিনার সাইমন কেরিগান ক্রিকেট কাঁপাবেন কিনা, সেটা সময় বলবে। আপাতত অবশ্য তিনিও নিজের ফর্ম নিয়ে হতাশ, খেলা বাদ দিয়ে তাই মনোযোগ দিচ্ছেন কোচিংয়ে।
বয়স ২৯ পূর্ণ হয়নি এখনও। তবে ফর্মটা ভাল যাচ্ছে না কেরিগানের। বাঁহাতি স্পিনার খাতা-কলমে তালিকাভুক্ত ক্রিকেটার হিসেবেই থাকবেন, তবে যুক্ত থাকবেন কোচিংয়েও!
২০১১ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জেতায় বড় ভূমিকা ছিল কেরিগানের। ৫ ম্যাচে নিয়েছিলেন ২৬ উইকেট, ইংল্যান্ড দলের রাডারেও ধরা পড়েছিলেন। ২০১৩ সালে টেস্ট অভিষেক, তবে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সে ম্যাচে ৮ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে থেকেছিলেন উইকেটশূন্য। ক্যারিয়ারে একমাত্র টেস্ট হয়ে আছে সেটিই।
পরের মৌসুমেও ল্যাঙ্কাশায়ারের দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেটে নিয়মিতই ছিলেন তিনি। গত মৌসুমে বিপত্তি বেঁধেছে, ওল্ড ট্রাফোর্ডে স্টিফেন প্যারির সঙ্গে লেগস্পিনার ম্যাট পারকিনসনের আবির্ভাবে জায়গাটা শক্ত থাকেনি কেরিগানের। এরপরই ধারে নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে ধারে খেলতে গিয়েছিলেন। ৪ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট।
এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে খেলা হয়নি এখনও তার। আপাতত তাই ভবিষ্যতের দিকেই নজর দিতে চাচ্ছেন তিনি, “ফর্মটা যে জায়গায় থাকা দরকার, আমার সেখানে নেই। হেড কোচ গ্লেন চ্যাপেল ও ক্রিকেট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাই মিলেই সম্মত হয়েছি যে আপাতত ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেটের কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকব, পাশাপাশি স্কোয়াডেও থাকব।”
তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষও। ক্রিকেট ডিরেক্টর পল অ্যালোট বলেছেন, “আমরা সাইমনের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। কোচিংয়ের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাকে সমর্থন জানাতে চায় ক্লাব। পুরো গ্রীষ্মজুড়েই সে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। আর তার বিবেচনায় যোগ্য যে ফর্মে সে ফিরতে চায়, সেখানে সাহায্য করা হবে।”