এবার হায়দরাবাদকে জেতাল ব্যাটসম্যানরা
দিল্লী ১৬৩/৫, ২০ ওভার
হায়দরাবাদ ১৬৪/৩, ১৯.৫ ওভার
হায়দরাবাদ ৭ উইকেটে জয়ী
বোলারের জন্য ‘বিখ্যাত’ হয়ে ওঠা হায়দরাবাদকে এবার জেতালেন ব্যাটসম্যানরা। ইউসুফ পাঠানের ১২ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে দিল্লীর ১৬৩ রান ১ বল বাকি থাকতে তাড়া করেছে হায়দরাবাদ, যেটা এ মৌসুমের তাদের সবচেয়ে বেশি রান-তাড়া করে জয়। নেট রান-রেটে চেন্নাইকে টপকে আবার শীর্ষে উঠে গেছে তারা। আর পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে একঘর ওপরে থাকা দিল্লী এবারের আইপিএলে এখন টিকে আছে শুধু অঙ্কের জটিল হিসাবেই।
শেষ ২ ওভারে হায়দরাবাদের প্রয়োজন ছিল ২৮। ক্রিজে ছিলেন কেন উইলিয়ামসন, হায়দরাবাদ ব্যাটিংয়ের নিকষ আঁধারে সবচেয়ে উজ্জ্বল রেখা। আর ছিলেন পাঠান, ১৯তম ওভার শুরুর আগে ৩ বলে ২ রান নিয়ে। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম বলে ছয়ের পরের বলেই এলবিডাব্লিউ হলেও রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন পাঠান। এরপর চার, সে ওভারে এলো ১৪। ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের শেষ ওভারের প্রথম তিন বলেই ১২ রান নিয়ে হায়দরাবাদকে পার করলেন পাঠান, জয়সূচক রানটা নিয়েছেন অবশ্য উইলিয়ামসনই।
হায়দরাবাদের বোলিংকে রান-রক্ষা করতে দেবেন না বলেই কিনা, দিল্লী অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার টসে জিতে নিয়েছিলেন ব্যাটিং। ভুবনেশ্বর কুমার ফিরলেন কমলা-রঙাদের বোলিং আক্রমণে, তবে রঙ হারিয়ে ফেললেন তারা। পৃথ্বি শ ও শ্রেয়াস আইয়ারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ ভিত গড়েছিল দিল্লী। এক রশীদ খানের ৪ ওভারে ২৩ রানের ফিগার ছাড়া হায়দরাবাদের সব বোলারদের ওপর দিয়েই ঝড় গেছে মোটামুটি। শেষ ওভারে ৪ রান দিয়ে সাকিব মোট ৪ ওভারে গুণেছেন ৩৪ রান।
অবশ্য শেষ ওভার বাদ দিলে ডেথ ওভারে হায়দরাবাদ ছিল স্বরুপেই। রশীদের করা ১৭তম ওভারে ২ রানের খরচায় এসেছে ২ উইকেট, পরের ওভারে সাকিব দিয়েছেন ৪, তার পরের ওভারে সিদ্ধার্থ কৌল দিয়েছেন ৭। ভুবনেশ্বরের শেষ ওভারে ১৭ রান তুলে দিল্লী পৌঁছেছে ১৬৩ পর্যন্ত। শর ৩৬ বলে ৬৫, আইয়ারের ৩৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংসের পর ১৩ বলে ২৩ রানের ক্যামিও খেলেছেন বিজয় শঙ্কর।
রান-তাড়ায় শুরুটা দারুণ করেছিলেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ও শিখর ধাওয়ান। ৩১ বলে ৪৫ রান করে অমিত মিশ্রর বলে বোল্ড হয়েছেন হেলস, একইভাবে আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে ৩৩ রান শিখর ধাওয়ানের। মাঝে ১৭ বলে ২৩ করে ফিরেছেন পান্ডে, প্লাঙ্কেটের বলে ক্যাচ দিয়ে।
একপাশ আগলে ছিলেন উইলিয়ামসন। এরপর পাঠানের আগমন। আর হায়দরাবাদের আরেকবার শীর্ষে উঠে যাওয়া।