হায়দরাবাদের আরেকটি দারুণ জয়ে উজ্জ্বল সাকিব
হায়দরাবাদ ১৪৬ অল-আউট, ২০ ওভার
বেঙ্গালুরু ১৪১/৬, ২০ ওভার
হায়দরাবাদ ৫ রানে জয়ী
২০১২, কলকাতার প্রতিপক্ষ পুনে। সাকিব প্রথমে ব্যাটিংয়ে করলেন ৪২, এরপর নিলেন ২ উইকেট। সাকিব হলেন ম্যাচসেরা, জিতলো কলকাতা।
২০১৮, হায়দরাবাদের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু। সাকিব প্রথমে ব্যাটিংয়ে করলেন ৩৫, এরপর নিলেন ২ উইকেট। সাকিব ম্যাচসেরা হলেন না, হলেন গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে তার সঙ্গী, এক্ষেত্রে উইলিয়ামসন। তবে এবারও জিতলো হায়দরাবাদ। আইপিএল ক্যারিয়ারে এই দুইবারই ৩০-এর অধিক রান ও ২ উইকেট নিলেন সাকিব, দুইবারই তার দল সফল।
তবে হায়দরাবাদের গল্পটা শুধুই সাকিবকে ঘিরে নয়। সাকিবের সব বোলিং সতীর্থরই। ১১৮, ১৩২, ১৫১ রানের পর ১৪৬ রান করেও জিতলো তারা। হায়দরাবাদের পয়েন্ট এখন ১৬, বাকি আছে চার ম্যাচ। প্লে-অফ মোটামুটি নিশ্চিত তাদের। পুরো উলটো চিত্র বেঙ্গালুরুর, খাতা-কলমে টিকে থাকলেও বাস্তবে তাদের লড়াইটা বেশ কঠিন!
হায়দরাবাদের ব্যাটিং চিত্র শুরুতে ছিল একই। ধাওয়ান-হেলসের ওপেনিং জুটি টেকেনি বেশিক্ষণ, রানের জন্য সংগ্রাম করে ফিরেছেন ধাওয়ানও। মনিশ পান্ডেও সে পথই ধরেছেন, একপ্রান্তে কেন উইলিয়ামসনকে রেখে ফিরেছেন দ্রুতই। এরপরই সাকিব-উইলিয়ামসনের ৬৪ রানের জুটি। দুইজন মিলে উইকেটের রেশ টেনে ধরেছেন, হায়দরাবাদকে দিয়েছেন বোলারদের লড়াইয়ের মতো রানের ভিত। ৩৯ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৫৬ রানে প্রথমে উমেশ যাদবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন উইলিয়ামসন, সাকিব সাউদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে করেছেন ৫ চারে ৩২ বলে ৩৫ রান। শেষ পর্যন্ত ১৪৬ রানে পৌঁছেছে হায়দরাবাদ।
এরপর হায়দরাবাদকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন সাকিব, পরে নিয়েছেন জমতে থাকা বিরাট কোহলির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। একহাতে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন ইউসুফ পাঠান। ৩০ বলে ৩৯ রান করেছিলেন কোহলি, তার আগেই ফিরেছিলেন মনন ভোহরা। তবুও বেঙ্গালুরু রানতাড়ায় ছিল ঠিকপথেই। কোহলির উইকেটেই খেই হারিয়ে ফেললো তারা, তার পর এবি ডি ভিলিয়ার্সের আরেক গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিলেন হায়দরাবাদের আরেক স্পিন-স্তম্ভ রশীদ খান।
কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও মন্দিপ সিংয়ের জুটি নতুন আশা দেখিয়েছিল বেঙ্গালুরুকে। সাকিব-সিদ্ধার্থ কৌল-রশীদ-সন্দিপদের ওভার দেখেশুনে খেলললেন, পরে গিয়ে গিয়ার পরিবর্তন করার আশায়। রশীদকে এক ওভারে দুই ছয় মেরে আশা বাড়িয়েও দিলেন গ্র্যান্ডহোম। তবে অন্য ধাতুতে গড়া হায়দরাবাদের বোলিং লাইন-আপ সেটা হতে দিল না। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান, ভুবনেশ্বর কুমার দিলেন মাত্র ৬, ব্লক-হোল আর ইয়র্কারে সুযোগই দিলেন না গ্র্যান্ডহোমদের।