• অ্যাশেজ
  • " />

     

    লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব

    লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব    

    কুইজের একটা মোক্ষম প্রশ্ন হতে পারে, আজকের আগে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বশেষ ডাবল সেঞ্চুরিয়ান কে ছিলেন? জেসন গিলেস্পির নামটা অনেকেই হয়তো ভুলে গেছেন, তবে বাংলাদেশের অন্তত মনে থাকার কথা। ২০০৬ সালে সেই ডাবল সেঞ্চুরির পর আজ গেরোটা কাটালেন স্টিভেন স্মিথ। ডন ব্র্যাডম্যান ও বিল ব্রাউনের পর তৃতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন লর্ডসে।

     

     

    মজার ব্যাপার, আজকের দিনে অস্ট্রেলিয়া সাত উইকেট হারিয়েছে, ইংল্যান্ড হারিয়েছে চারটি, কিন্তু ম্যাচটা যে অস্ট্রেলিয়ার মুঠোয় এটা এখনই বলে দেওয়া যায়। ৫৬৬ রানে আট উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ঘোষণার পর ইংল্যান্ড ৮৫ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে ৪ উইকেট। কাল অ্যালিস্টার কুক ও বেন স্টোকসের সামনে তাই পাহাড় সমান চ্যালেঞ্জ। প্রথম ইনিংসে যে ইংল্যান্ড পিছিয়ে ৪৮১ রানে।   

     

     

    সেই চ্যালেঞ্জের কিছুটা দুজন নিয়েই ফেলেছেন। ৩০ রানেই ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের। উইকেটের সুইং দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিন পেসার মিচেল জনসন, মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজলউড। শুরুতেই হ্যাজলউডের বলে ফিরে গেছে লিথ, জনসনের আউট সুইঙ্গারে বোল্ড গ্যারি ব্যালান্স, এরপর বেলকেও আউট সুইঙ্গারেই বোল্ড করেছেন হ্যাজলউড, আর রুটকে দারুণ এক ওভারে শট পিচ ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দিয়েছেন জনসন। স্টোকসও ফিরে যেতে পারতেন ওই ওভারেই, পরে অবশ্য দারুণ কিছু স্ট্রোক খেলে অপরাজিত ছিলেন ৩৮ রানে। ওপাশে সঙ্গী কুক অবিচল ২১ রানে।

     

     

    দিনের প্রথম বলেই অ্যান্ডারসনের বল লাগে ক্রিস রজার্সের হেলমেটে। আত্মবিশ্বাস বোধহয় তখনই খানিকটা নড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের। খানিক পরেই তাই ব্রডের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন। ততক্ষণে অবশ্য স্মিথের সঙ্গে আরেকটা রেকর্ড হয়ে গেছে, লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মার্ক টেলর-মাইকেল স্ল্যাটারের ২৬০ রান পেরিয়ে গেছেন দুজন।