• অ্যাশেজ
  • " />

     

    অস্ট্রেলিয়া ফিরল অস্ট্রেলিয়ার মতোই

    অস্ট্রেলিয়া ফিরল অস্ট্রেলিয়ার মতোই    

    ফিরে আসা বোধহয় একেই বলে। কার্ডিফে পরাজয় আঁতে ঘা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার অহমে। লর্ডসে তাই আহত বাঘের গর্জনে ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলল ইংল্যান্ডকে। ৪০৫ রানের পরাজয়ও বোঝাতে পারছে না অস্ট্রেলিয়ার জয় কতটা দাপুটে ছিল। লর্ডস টেস্টের দুর্দান্ত জয়ে অ্যাশেজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া।

     

    তৃতীয় দিন শেষেই একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের পরাজয়। চতুর্থ ইনিংসে ৫০৯ রানের লক্ষ্যটা তো এভারেস্ট জয় করার চাইতে খুব একটা সহজ নয়। কিন্তু সেই পর্বতে উঠতে গিয়ে ইংল্যান্ড যে মাঝরাস্তায় আসার আগেই মুখ থুবড়ে পড়বে সেটা ভাবাটা কঠিন ছিল।

     

    তৃতীয় দিন সকালে যখন অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নেমেছে, তখন কিন্তু লক্ষণ খুব একটা পয়া ছিল না। খেলার শুরুতেই ক্রিস রজার্স মাঠ ছেড়ে চলে যান। এরপর অবশ্য ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভেন স্মিথ ম্যাচটা ইংল্যান্ডের নাগালের একদম বাইরেই নিয়ে গেছেন। ওয়ার্নার একটুর জন্য সিরিজে প্রথম সেঞ্চুরি পাননি, আউট হয়ে গেছেন ৮৫ রান করে। মঈন আলীর বলে বোল্ড হওয়ার আগে স্মিথ করেছেন ৫৮।  মাইকেল ক্লার্ক আর মিচেল মার্শ চটজলদি কিছু রান তুলে ইংল্যান্ডকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন অসম্ভবের সামনে।

     

    চতুর্থ দিনে লর্ডসের উইকেটে এমন কোনো জুজু ছিল না। কিন্তু ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা সেই উইকেটেই একজনের পর এলেন আর গেলেন। শুরুটা করেছেন মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম লিথকে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়েছেন। প্রথম ইনিংসের কাণ্ডারি অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুককে ফিরিয়ে দিয়েছেন মিচেল জনসন। দারুণ একটা শুরুর পর লর্ডসের দুই ইনিংসে আবারও ব্যর্থ জো রুট। গ্যারি ব্যালান্স আর ইয়ান বেলও যথারীতি ব্যর্থ। আর বেন স্টোকসের অদ্ভুত রান আউটটা আরও প্রকট করে দিচ্ছে ইংল্যান্ডের লজ্জা। শেষদিকে স্টুয়ার্ট ব্রড একটু প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু সেটা পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। কার্ডিফে ভুলে যাওয়ার মতো একটা টেস্টের পর স্বরূপে ফিরেছেন জনসন, প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও পেয়েছেন তিন উইকেট।