• অ্যাশেজ
  • " />

     

    অজিদের ছাইভষ্মে ইংলিশ উৎসব

    অজিদের ছাইভষ্মে ইংলিশ উৎসব    

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ৬০/১০ (জনসন ১৩, অতিরিক্ত ১৪; ব্রড ৮/১৫), ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৩৯০/৯ ডি. (রুট ১৩০, বেয়ারস্টো ৭৪; স্টার্ক ৬/১১১); অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস ২৫৩/১০ (ওয়ার্নার ৬৪, রজার্স ৫২; স্টোকস ৬/৩৬, উড ৩/৬৯)

     

    ফলঃ ইংল্যান্ড ইনিংস ও ৭৮ রানে জয়ী।

     

    ম্যান অব দ্য ম্যাচঃ স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড)।

     

    প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই একাধিক লজ্জার রেকর্ড, নটিংহ্যাম টেস্টে অজিদের পরাজয়টা অবশ্যম্ভাবীই ছিল। জল্পনা ছিল কেবল সেটার ব্যাপ্তি নিয়ে। কোনওরকমে দু’দিন পার করে তৃতীয় দিনের শুরুতেই হার মেনে নিল মাইকেল ক্লার্কের দল। প্রথম ইনিংসে স্টুয়ার্ট ব্রডের পর দ্বিতীয় ইনিংসে বেন স্টোকস, দুই ইংলিশ পেসারের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের টেস্টে আক্ষরিক অর্থেই ‘ছাই’ হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়া। বিপরীতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই চলতি অ্যাশেজ ইনিংস ও ৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে নিলো কুক বাহিনী। ঘরের মাঠে টানা চতুর্থ টেস্ট সিরিজ জয়ের পাশাপাশি দীর্ঘ চৌদ্দ বছর ঘরের মাঠে অ্যাশেজ না হারার গৌরবটুকুও ধরে রাখলো ইংল্যান্ড।

     

     

    আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৪১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে সাকুল্যে আর ১১ ওভার খেলতে পারলো অস্ট্রেলিয়া। শেষ ৩টি উইকেট খোয়ানোর আগে তাঁদের স্কোরবোর্ডে যোগ হল আরও ১২ রান। তাতে ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানটাই কেবল সামান্য কমলো।

     

    এর আগে ট্রেন্ট ব্রিজে চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনে টস জিতে প্রতিপক্ষকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান ইংলিশ ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার কুক। বিভীষিকাময় সেই সকালে মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যায় অজিদের ইনিংস। ক্যারিয়ারসেরা ৮ উইকেট দখলে নিয়ে সামনে থেকে অস্ট্রেলিয়ার ধ্বংসযজ্ঞে নেতৃত্ব দেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড।

     

     

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে জো রুটের অনবদ্য ১৩০ আর বেয়ারস্টো, কুক, মঈন আলীদের উল্লেখযোগ্য অবদান পুঁজি করে ৯ উইকেটে ৩৯১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড।

     

    দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করলেও দ্বিতীয় দিনের চা বিরতির আগে আগে ফের বিপর্যয়ের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাক্তিগত স্পেলের টানা তিন ওভারে তিন অজি টপ অর্ডারকে ফিরিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন ইংলিশ পেসার বেন স্টোকস। সাথে মার্ক উড, স্টুয়ার্ট ব্রডদের যুগপৎ আক্রমণে তৃতীয় দিনের শুরুতেই সে ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৫৩ রানে।


     

     

    ৩৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং রেকর্ডটি আরও খানিক সমৃদ্ধ করে নিলেন স্টোকস। তাঁর আগের ৬ উইকেট নেয়ার কৃতিত্বটি ছিল ৯৯ রানের বিনিময়ে।