চটেছেন ক্লার্ক-জনসনরা
অ্যাশেজ লজ্জার পর অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ায় এখন চলছে ক্লার্কদের তুমুল সমালোচনা। এর মধ্যেই অভিযোগ এল, স্ত্রী সন্তানদের বেশি সময় দেওয়ার কারণে মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে ক্লার্কদের। ক্লার্করা অবশ্য সেই কথার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এক রেডিও সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগকে মাইকেল ক্লার্ক ‘ফালতু’ বলে মন্তব্য করেছেন। এদিকে মিচেল জনসন ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের’-র সাংবাদিক রেবেকা উইলসনের লেখা একই অভিযোগের বিরুদ্ধে ,”যদি বলেন আমরা সারাদিন পরিবারের সাথে সময় কাটাই, তবে আপনি ভুল বলছেন। আর এটা আপনার মাথা ঘামানোর বিষয় না। লিখতে চাইলে আমাদের খেলা নিয়েই লিখুন। আপনি নিজের সীমাটা পার করে ফেলেছেন।”
খেলার সময় পরিবারকে সাথে নিয়ে যাওয়া সম্পর্কে প্রথমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ইয়ান হিলি। ট্রেন্টব্রিজ টেস্ট চলাকালীন সময়ে তিনি এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে সিরিজ হার নিশ্চিত হওয়ার পর অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমও খেলোয়াড়দের পরিবারকে দোষারোপ করা শুরু করে। এ সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ওয়ার্নার একটু অন্যরকম কথাই বলছেন, “দেখুন, ভারত, বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কায় আমরা অনেক সময় পরিবার বা সন্তান নিয়ে আসতে চাই না। ওখানে আসলে আমাদের মনসংযোগে সমস্যা হবে সে জন্য নয়।, বরং ওখানে আবহাওয়া বা পরিবেশের কারণে বাচ্চাদের সমস্যা হতে পারে সে জন্য। কিন্তু আমি পরিবারকে নিয়ে যাওয়ারই পক্ষপাতী। দেখুন, দিন শেষে যখন আপনি বাড়ি ফিরবেন তখন আপনি পরিবারের কাছেই ফিরতে চাইবেন। দিন শেষে তো আপনি ওদেরই হাসিমুখ দেখতে চাইবেন। তাদেরকে পাশে পাওয়াটা আসলেই অসাধারণ।”
এদিকে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অ্যালিস্টার নিকলসন খেলোয়াড়দের সমর্থন করে জানান,”বিদেশ সফরে খেলোয়াড়রা মাঝেমধ্যে পরিবারকে সাথে নিয়ে যেতেই পারে। কারণ, বছরের দুই-তৃতীয়াংশ সময় পরিবারকে ছাড়াই তাঁদের কাটাতে হয়। এই সামান্যতম সময়টুকু খেলোয়াড়ের মানসিকতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।”
আপাতত এই বিতর্কটা তাই ধামাচাপাই পড়ে যাওয়ার কথা।