• ক্রিকেট

পুরনো অস্ট্রেলিয়া কি ফিরে এল!

পোস্টটি ২৬০২ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে কি পুরোনো সূর্য নতুন করে উদিত হচ্ছে?

বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই প্রশ্ন এখন অনেকেই করতে পারেন। কারণ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিম যে ধরনের ধরপাকড়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে গত এক বছরে, তাতে দলের অবস্থান সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক কারো মধ্যেই আশাব্যঞ্জক কিছু দেখা যায়নি। বরং তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বাজে সময়ই তারা পার করেছে। ২০১৮ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিম বল ট্যাম্পারিংয়ের মতো বিষয়ে জড়িয়ে যেয়ে তাদের দুজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারাতে বসেছিলেন। স্টিভ স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নার। দুইজনই ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞায় চলে যান। এই বল ট্যাম্পারিংয়ের ঘটনা সেসময় ক্রিকেট বিশ্বে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। ২০১৯ সালের ওয়ার্ল্ডকাপের চিন্তাটাও মাথায় চলে আসে অনেকের। সবাই ভাবতে থাকে কি হবে দলটার।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে লাস্ট ওডিআই সিরিজ জেতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিম। এরপর ২০১৮ সালের মার্চে বল ট্যাম্পারিংয়ের ঘটনাতো ছিলই, সাথে সে বছর কোনো ওডিআই সিরিজ জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া মোট ৪ টি ওডিআই সিরিজ খেলে। কিন্ত একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি তারা।

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিমের এই অবস্থায়,তাদের নিয়ে কেউ তেমন আশাবাদী ছিলনা। ২০১৯ ওয়ার্ল্ডকাপ নিয়ে আলাপচারিতাতেও অস্ট্রেলিয়ার কথা মনে পড়লেও, কেউ সেভাবে আগ্রহ খুঁজে পেতনা তাদের পারফরমেন্স দেখে। কিন্ত সেই অস্ট্রেলিয়া টিম বিশ্বকাপের বছরের শুরুতেই কেমন যেন ঘুরে দাঁড়ালো। যার ফলে দলটিকে নিয়ে এখন আশা করছেন সবাই। 

richardson-struck-very-early-t

২০১৯ এর শুরুতেই শ্রীলংকাকে দুটি টেস্টে হারানো। ফেব্রুয়ারিতে ইন্ডিয়াকে দুই টি-টুয়েন্টিতে হারানো। সাথে ইন্ডিয়ার সাথে ৫ ওডিআইয়ের তিনটিই জিতে সিরিজ জিতে নেওয়া। এবং সর্বশেষ বিশ্বকাপের আগে হওয়া অস্ট্রেলিয়ার শেষ ওডিআই সিরিজে পাকিস্তানকে ৫ ম্যাচের ৫ টিতেই পরাজিত করা। যেটি একদম সরাসরি হোয়াইটওয়াশ।

অস্ট্রেলিয়ার এই হঠাৎ প্রত্যাবর্তন, যেটি কিনা বিশ্বকাপের একদম নিকটে এসে। এটি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের জন্য অবশ্যই অনেক বেশি স্বস্তির। অগোছালো দলটা যে আবার আস্তে আস্তে নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে এবং তাদেরকে বাদ দিয়ে যে কখনোই একটা বিশ্বকাপের মতো আসরের ‘ফেভারিট’ লিস্ট সাজানো যায়না। সেটিই হয়তো জানান দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।