• শ্রীলংকা-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ
  • " />

     

    দনঞ্জয়ার ঘূর্ণিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিল শ্রীলঙ্কা

    দনঞ্জয়ার ঘূর্ণিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিল শ্রীলঙ্কা    

    ৫ম ওয়ানডে, কলম্বো
    শ্রীলঙ্কা ২৯৯/৮, ৫০ ওভার 
    দক্ষিণ আফ্রিকা ১২১ অল-আউট, ২৪.৪ ওভার 
    শ্রীলঙ্কা ১৭৮ রানে জয়ী 


    টানা ১১ ম্যাচ জয়খরাটা শ্রীলঙ্কা কাটিয়েছিল গত ম্যাচে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয় পেল তারা। ৫ ম্যাচের সিরিজ তিন ম্যাচেই হেরে যাওয়ার পর শেষ দুই ম্যাচে জয়- শ্রীলঙ্কা পেল ভাল অনুপ্রেরণাই। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংসে ২৯৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়া শ্রীলঙ্কা পরে আকিলা দনঞ্জয়ার স্পিনে উড়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ২৪.৪ ওভারে ১২১ রানেই অল-আউট হয়ে গেছে তারা। অধিনায়ত্ব পাওয়ার পর দুই ম্যাচই হারের স্বাদ পেলেন কুইন্টন ডি কক। শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডেতে রানের ব্যবধানে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ জয়। 

    ৩০০ রানের লক্ষ্যে সেই ডি ককই যা একটু গড়েছিলেন প্রতিরোধ। প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফিরেছিলেন হাশিম আমলা, ডি কক এরপর করেছেন ৫৭ বলে ৫৪ রান, ৭ চার ও ১ ছয়ে। তবে এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং-কার্ডে এক অঙ্কের ছড়াছড়ি, এইডেন মার্করামের ২০, জেপি ডুমিনি ও কাগিসো রাবাদার ১২ রানের ইনিংসগুলোও পারছে সে চিত্রের ভয়ঙ্কর অবস্থাটা একটু প্রশমিত করতে। 

    মার্করামকে ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে শুরু করেছিলেন দনঞ্জয়া, এরপর গড়েছেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ইনিংসে ৫ বা এর বেশি উইকেট পেলেন তিনি, শেষ পর্যন্ত ২৯ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। রীতিমতো নাচিয়ে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের, তার রহস্যময় গুগলিও ধরতে পারেননি তারা। 

    এর আগে শ্রীলঙ্কাকে ভাল শুরু এনে দিয়েছিলেন উপুল থারাঙ্গা ও নিরোশান ডিকওয়েলা। ফেহলুকায়োর বলে স্টাম্পড হওয়ার আগে পরেরজন করেছেন ৪৩ রান, এরপর ম্যাথিউসকে সঙ্গ দিয়েছে শ্রীলঙ্কার লেট মিডল ও লোয়ার অর্ডার। মাঝে কুশাল মেন্ডিসের ৪৩ বলে ৩৮ রানের ইনিংসও সাহায্য করেছে শ্রীলঙ্কাকে। 

    সমানসংখ্যক বলে ১১ চার ও ১ ছয়ে ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ম্যাথিউস। ৯৪ রানে শেষ ওভারে ব্যাটিং শুরু করেও সেঞ্চুরিটা পাওয়া হয়নি তার, শ্রীলঙ্কাও ছুঁতে পারেনি ৩০০। তবে শেষ পর্যন্ত যথেষ্টর চেয়ে বেশি হয়েছে সেসবই।