• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ২০১৮
  • " />

     

    ইয়াসিরের সেঞ্চুরি, রাজ্জাকের ৫ উইকেট

    ইয়াসিরের সেঞ্চুরি, রাজ্জাকের ৫ উইকেট    

    দ্বিতীয় রাউন্ড, রাজশাহী 
    ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ৪৭৩ (শামসুর ১৫৩, ইয়াসির ১১২, রাজ্জাক ৫/১৭১) 
    সাউথ জোন ১ম ইনিংস ৮৯/৪* 


    ইয়াসির আলির সেঞ্চুরিতে ৪৭৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়া ইস্ট জোনের বোলিং তোপেও পড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সাউথ জোন। ৮৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিনশেষে তারা পিছিয়ে ৩৮৪ রানে। 

    আগের দিন ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির, এদিন তার সঙ্গে জুটি ফিফটি পেরুনোর পরই আউট হয়ে গেছেন তাসামুল হক, ৪৮ রান করে তিনি বোল্ড হয়েছেন আল-আমিন হোসেনের বলে। আফিফ হোসেনের সঙ্গে ইয়াসিরের জুটি এরপর ৪৬ রানের। ১৩ রানের ব্যবধানে আফিফ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও ফরহাদ রেজার উইকেট হারিয়েছে এরপর ইস্ট জোন, প্রথম জনের উইকেট নিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক, পরের দুইজনেরগুলো মেহেদি হাসান। 

    আগের রাউন্ডে প্রতিপক্ষর টেইলএন্ড ভুগিয়েছিল সাউথ জোনকে, আবারও ফিরে এলো সেই জুজু। এনামুল হক জুনিয়রকে নিয়ে ৯ম উইকেটে ইয়াসির আলি যোগ করেছেন ৯৭ রান। লাঞ্চ থেকে ফিরে ১৫৭ বলে ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ইয়াসির, আগের রাউন্ডে ৯৪ রানে আউট হওয়ার আক্ষেপটাও ভুলেছেন। 

    ৪৬ রান করে ফজলে রাব্বির বলে কট-বিহাইন্ড হয়েছেন এনামুল। পরের ওভারে দলীয় ৪৭৩ রানেই আউট হয়েছেন ইয়াসিরও, ১৭৪ বলে ১২ চারে ১১২ রান করে, রাজ্জাকের বলে মেহেদিকে ক্যাচ দিয়ে। এ উইকেট দিয়ে ক্যারিয়ারের ৩৫তম বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন রাজ্জাক। 

    প্রায় ১৩৮ ওভার ফিল্ডিংয়ের পর সাউথ জোনের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয়েছে বিভৎস। শাহরিয়ার নাফীস, এনামুল হক ও তুষার ইমরান- ১৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে তারা। নাফীস ০ ও তুষার ১ রানে এলবিডব্লিউ হয়েছেন মাহমুদুল হাসানের বলে, এনামুল মাহমুদুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন হাসান মাহমুদের বলে। 

    সাইফউদ্দিনের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ফজলে রাব্বি করেছেন ২৯ রান, ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে সাউথ জোন। শেষবেলায় রকিবুল হাসান ও নুরুল হাসানের অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিতে অবশ্য একটু ধাতস্থ হয়েছে সাউথ জোন। তবে তাদের সামনে এখনও সুদীর্ঘ পথ।