• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ২০১৮
  • " />

     

    মুমিনুল-ইয়াসিরের জোড়া সেঞ্চুরির পর নাঈমের রেকর্ড ৮ উইকেট

    মুমিনুল-ইয়াসিরের জোড়া সেঞ্চুরির পর নাঈমের রেকর্ড ৮ উইকেট    

    শেষ রাউন্ড, সিলেট 
    ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ৪২৫ (মাহমুদুল ৯৪, মুমিনুল ৮২, ইমরুল ৭৮, মাহমুদুল ৭৪*, জাকির ৫৭, তাসকিন ৪/৯৬, আবু হায়দার ২/৮৫, মোসাদ্দেক ২/৯৭, মোশাররফ ২/৯১) ও ২য় ইনিংস ২৫৪/৩ ডিক্লে. (মুমিনুল ১০০, ইয়াসির ১০১*, শাহাদাত ১/১৯) 
    সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিংস ২২৪ অল-আউট (পিনাক ৫১, মোসাদ্দেক ৫৭, তাইজুল ৬/৯২, নাঈম ২/৪৪) ও ২য় ইনিংস ১৩৪ অল-আউট (নাজমুল ৩৬, সাইফ ৩১, নাঈম ৮/৪৭, আবু জায়েদ ২/৮) 


    মুমিনুল হক ও ইয়াসির আলির জোড়া সেঞ্চুরির পর অফস্পিনার নাঈম হাসানের রেকর্ড ৪৭ রানে ৮ উইকেটে তিনদিনের মাঝেই ইস্ট জোনের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে সেন্ট্রাল জোনের। এই রাউন্ড শুরুর আগে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল সেন্ট্রাল, তাদেরকে টপকে সেই অবস্থান এখন ইস্ট জোনের। তবে শিরোপার জন্য সাউথ ও নর্থের ম্যাচের শেষদিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ইস্টকে। সে ম্যাচে জয় দেখছে সাউথ জোন, কোনোভাবে সাউথ জিততে না পারলেই শুধু শিরোপা জিতবে ইস্ট জোন। 

    প্রথম ইনিংসে ২০৩ রানের লিড ও ১০ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করেছিল ইস্ট জোন। ৪৬ রানের মাঝে সেন্ট্রাল নিয়েছিল ২ উইকেট- ২৪ রান করে রনি তালুকদারের পর ৮ রান করে ফিরেছিলেন ইমরুল কায়েস। তবে মুমিনুল ও ইয়াসির ভাবলেন অন্যকিছু। ধাপে ধাপে করেছেন আক্রমণ, মূলত ফিফটি ছোঁয়ার পর চরম রুপ নিয়েছে যেটা। ইস্ট লাঞ্চে গিয়েছিল ১২৬ রানে। 

    মুমিনুল ফিফটি করেছেন ৭২ বলে, ইয়াসির ৭৫ বলে। পরের ফিফটিটা মুমিনুল করেছেন ৩২ বলে, ইয়াসিরের লেগেছে ৩৩ বল। শেষ পর্যন্ত ১০৬ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ১০০ রান করে মুমিনুল আউট হয়েছেন মোশাররফ হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে। ৩ উইকেটে ২৫৪ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছে ইস্ট জোন, সেন্ট্রালকে ৪৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে। এর আগে জাকির হাসানের ৬ বলে ১৫ রানের ক্যামিওর পর। ইয়াসির অপরাজিত ছিলেন ১০৯ বলে ১০১ রানে, ১০ চারের সঙ্গে মেরেছিলেন ১টি ছয়

    ইয়াসির থেমেছেন, শুরু করেছেন নাঈম। দুইদিক থেকেই স্পিনার বল করে গেছেন ইস্ট জোনের হয়, চা-বিরতির আগে পরে নাঈম ও তাইজুল মিলে করেছেন টানা ২৬ ওভার। নাঈম করেছেন টানা ১৯ ওভার, এই সময়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ২য় ওভারে পিনাক ঘোষ, ১২তম ওভারে আব্দুল মজিদকে আউট করে শুরু করেছেন।  ১৪ থেকে ১৬তম ওভারে নিয়েছেন টানা তিন উইকেট- নাজমুল হোসেন শান্ত, মার্শাল আইয়ুব ও মোসাদ্দেক হোসেন ফিরেছেন এ সময়। ৩ ওভার বিরতি নিয়েছিলেন, এরপর ফিরে ২০তম ওভারে নিয়েছেন মোশাররফ হোসেন ও আবু হায়দারকে। নাঈমের এ বোলিং ফিগারই বাংলাদেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণিতে কোনও অফস্পিনারের সেরা। ইনিংসের অন্য দুই উইকেট নিয়েছেন পেসার আবু জায়েদ। ৪৩তম ওভারে ১৩৪ রানে শেষ হয়ে গেছে সেন্ট্রালের ইনিংস। ইস্ট জোন জিতেছে ৩২১ রানের বিশাল ব্যবধানে। 

    এ ম্যাচে ইস্টের সংগ্রহ ১১.২ পয়েন্ট, তবে শেষ পর্যন্ত শিরোপা জেতার জন্য যথেষ্ট হবে সেটা?