• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ২০১৮
  • " />

     

    ড্রয়ের আগে রনি-আশরাফুল ঝড়

    ড্রয়ের আগে রনি-আশরাফুল ঝড়    

    বিসিএল, পঞ্চম রাউন্ড
    বগুড়া 
    ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ২৬২/৮ ডিক্লে. (ইয়াসির ৭০, রনি ৪০, আল-আমিন ৩/২৬, মেহেদি ২/৪৭) ও ২য় ইনিংস ১৫৯/৫ ডিক্লে. (রনি ৫৮, আশরাফুল ৫৪, মেহেদি ৩/৬০) 
    সাউথ জোন ১ম ইনিংস ১৭৫/৮ ডিক্লে. (রাব্বি ৬৯, তুষার ৪০, তাইজুল ২/৩২, রেজা ২/৩৪) ও ২য় ইনিংস (লক্ষ্য ২৪৭) ১৩২/৫ (মেহেদি ৩৯*, এনামুল ৩২, আবু জায়েদ ২/৩৮) 
    ম্যাচ ড্র


    রনি তালুকদার ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ঝড়ো ফিফটিতে ওভারপ্রতি ৭.২৮ হারে ১৫৯ রান তুলে সাউথ জোনকে ২৪৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দিয়েছিল ইস্ট জোন। সে চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়ে ১৩ ওভারের আগে ৬৯ রান তুলে ফেলেছিল সাউথ জোন, তবে হারিয়েছিল ৫ উইকেটও। হুট করে জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল ইস্ট জোন, তবে নুরুল হাসান ও মেহেদি হাসানের অবিচ্ছিন্ন ৬৩ রানের জুটি সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। দুই দল ‘চেষ্টা’ করেও তাই ড্র ছাড়া অন্য ফল আনতে পারেনি বগুড়ায়, যে ম্যাচের প্রথম দিন হতে পারেনি একটি বলও। এক রাউন্ড বাকি থাকতে দুইয়ে থাকা সাউথের পয়েন্ট এখন ২০.৬৩, তিনে থাকা ইস্টের পয়েন্ট ১৭.৮৯। 

    ৩ উইকেটে ১৩৬ রান নিয়ে এদিন প্রথম ইনিংস শুরু করেছিল সাউথ, ৪০ রান করে ফরহাদ রেজার বলে শুরুতে ফিরেছেন তুষার ইমরান। এরপর ২৫ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়েছে তারা, নুরুল, কামরুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক আউট হয়েছেন শুন্যতেই। আগেরদিন ৫৭ রানে অপরাজিত ফজলে রাব্বি আউট হয়েছেন ৬৯ রান করে, যে ইনিংস পরে এই বাঁহাতি এনে দিয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। ৮ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা ইস্ট জোনকে বোনাস পয়েন্ট থেকে বঞ্চিত করতে। 

    দ্বিতীয় ইনিংসে এরপর ইস্ট জোন শুরু করেছে ঝড়। ৫ রানে ওপেনার ইমরুল কায়েস ফিরলেও রনি তালুকদার ছিলেন অন্যরকম মুডে। ৩৯ বলে তিনি করেছেন ৫৮ রান, ৪ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩ ছয়। মুমিনুল হকের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে তিনি যোগ করেছেন ৭০ রান। রনির সঙ্গে এরপর যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, ঝড়ের মাত্রা বেড়েছে আরও। দুজন মিলে ৪০ বলে তুলেছেন ৬২ রান। আশরাফুল শেষ পর্যন্ত ৫ চার ও ১ ছয়ে করেছেন ৩৭ বলে ৫৪। ইস্ট জোন দ্বিতীয় ইনিংসে ২১.৫ ওভারে তুলেছে ১৫৭ রান, ৫ উইকেটে। 

    শেষ পর্যন্ত আলো থাকলে সাউথের জয়ের জন্য করতে হতো প্রায় ৪০ ওভারে ২৪৭ রান। একদিকে ২৭ বলে ৩২ রান করেছেন এনামুল, অন্যদিকে উইকেট পড়েছে নিয়মিত। ১৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপেও পড়েছিল সাউথ জোন, নুরুল-মেহেদি উদ্ধার করেছেন তাদের।