মোসাদ্দেকের সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়াল সেন্ট্রাল জোন
দ্বিতীয় রাউন্ড, বগুড়া
সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিংস ২২০ ও ২য় ইনিংস ৩১৮ (মোসাদ্দেক ১০৪, মোশাররফ ৫৪, মোহর ৫/৬৯)
নর্থ জোন ১ম ইনিংস ২৫৫ ও ২য় ইনিংস ৭/১*
সাতে নামা মোসাদ্দেক হোসেনের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেন্ট্রাল জোন। ৯৪ রানে ৫ উইকেট যাওয়ার পর শুভাগত হোমের সঙ্গে ৬ষ্ঠ উইকেটে ৬৭ ও ৭ম উইকেটে মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ১১৭ রানের জুটির পর নর্থ জোনকে ২৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছে সেন্ট্রাল জোন। ৭ রানে ওপেনার মিজানুর রহমানকে হারিয়ে ফেলেছে নর্থ জোন, শেষদিনে ৯ উইকেটে তাদের প্রয়োজন ২৭৭ রান।
জাতীয় লিগটা মোসাদ্দেকের ভাল যায়নি মোটেও, সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২৯ রানের। বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে খেলেননি, সম্প্রতি ইমার্জিং এশিয়া কাপের বাংলাদেশ স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন সহ-অধিনায়ক হিসেবে। সেটা হয়তো উজ্জীবিত করলো তাকে, মোসাদ্দেক ঘুরে দাঁড়ালেন দারুণভাবে, তার ইনিংসে ভর দিয়ে ঘুরে দাঁড়াল সেন্ট্রাল জোনও।
৫০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা সেন্ট্রাল জোন প্রথম ঘন্টায় হারিয়েছিল তাইবুর রহমানকে, ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া মোহর শেখ বোল্ড করেছেন তাকে। ৪২ রান করে লাঞ্চের আগেই ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তও, এবাদত হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। ৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিলেন শুভাগত-মোসাদ্দেক।
শুভাগত ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক, ছয় চারে ৬২ বলে ৪৫ রান করে মোহরের বলে হয়েছেন কট-বিহাইন্ড। চা-বিরতির আগেই ৭৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছেন মোসাদ্দেক, ৮ ইনিংসের মাঝে যা প্রথম ফিফটি তার। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ১৫৭ বলে, ১১ চারে ১০৪ রান করার পর বোল্ড হয়েছেন এবাদতের বলে। পরের বলে বোল্ড হয়েছেন শহিদুল ইসলামও, ম্যাচে দ্বিতীয়বার হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন এবাদত। সেটা হয়নি অবশ্য। মোশাররফ শেষ পর্যন্ত করেছেন ছয় চারে ১১৫ বলে ৫৪ রান, ম্যাচের প্রেক্ষিতে যে ইনিংসের গুরুত্ব অনেক।
মোশাররফ ও রবিউলের উইকেট নিয়ে ইনিংস শেষ করেছেন মোহর। তিন ম্যাচের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট নিলেন মোহর। তবে নর্থ জোনকে বাঁচাতে যথেষ্ট হবে সেটা?