• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ২০১৮
  • " />

     

    এনামুলের সেঞ্চুরিতে সাউথ জোনের 'দ্য গ্রেট এসকেপ'

    এনামুলের সেঞ্চুরিতে সাউথ জোনের 'দ্য গ্রেট এসকেপ'    

    দ্বিতীয় রাউন্ড, রাজশাহী 
    ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ৪৭৩ (শামসুর ১৫৩, ইয়াসির ১১২, রাজ্জাক ৫/১৭১) 
    সাউথ জোন ১ম ইনিংস ২৫৮ (মেহেদি ৮৬, রকিবুল ৬৬ এনামুল ৪/১২১, মাহমুদুল ৩/৪৩) ও ২য় ইনিংস (ফলোয়িং-অন) ৩৭৭/৫ (এনামুল ১৩৩, নাফীস ৮১, আফিফ ২/৮৩, এনামুল জুনিয়র ২/১০৫)
    ম্যাচ ড্র 


    ইস্ট জোনের ৪৭৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৫৮ রানে অল-আউট হয়ে যাওয়া সাউথ জোন পড়েছিল ফলো-অনে। রাজশাহীতে এরপর প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্প লিখেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এনামুল হকের সেঞ্চুরি, শাহরিয়ার নাফীসের ৮১ ও তুষার ইমরানের ৪১ রানের ইনিংসে ভর করে শেষদিনের প্রায় পুরোটা ব্যাটিং করে ম্যাচ ড্র করেছেন তারা। 

    ইঙ্গিতটা আগের দিনই দিয়ে রেখেছিলেন সাউথের দুই ওপেনার- তুষার ও নাফীস। আজ অবশ্য দিনের শুরুতে আগেরদিনের সঙ্গে কোনও রান যোগ না করেই মাহমুদুল হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন নাফীস। ফজলে রাব্বিকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ৬০ রান যোগ করেছেন এনামুল। এনামুল হক জুনিয়রের বলে ক্যাচ দিয়েছেন রাব্বি, ২২ রান করে। 

    লাঞ্চের আগেই ২০৫ বলে ক্যারিয়ারের ১৬তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন এনামুল। জুনিয়রের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৫৩ বলে ১৫ চার ও ১ ছয়ে করেছেন ১৩৩ রান, ক্রিজে ছিলেন ৩৪২ মিনিট। তুষারের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে তার জুটিতে উঠেছে ৮৯ রান। 

    এনামুলের পর তুষারও দ্রুতই ফিরেছেন আফিফ হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে। চা-বিরতির আগে আউট হয়েছেন নুরুল হাসানও, হাসান মাহমুদের বলে। তখনও সাউথ জোনের লিড ৯৯ রানের। 

    এরপর অবশ্য রকিবুল হাসান ও প্রথম ইনিংসে সাউথ জোনের ব্যাটিংয়ে ত্রাতা মেহেদি হাসান মিলে নিশ্চিত করেছেন তাদের ‘দ্য গ্রেট এসকেপ’। নয়জন বোলার এনেও ইস্ট জোন পার হতে পারেনি, এ ম্যাচে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ৪.৩ পয়েন্ট নিয়েই। সাউথ জোনের প্রাপ্তি ২.৬ পয়েন্ট। 

    এ ম্যাচ বাঁচালেও দুই ম্যাচ শেষে অবশ্য পয়েন্ট টেবিলের তলানীতেই পড়ে রইল সাউথ জোন, ইস্ট জোন আছে তাদের আগে। শীর্ষে নর্থ জোন, দুইয়ে সেন্ট্রাল জোন।