• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ২০১৮
  • " />

     

    সেন্ট্রালের ৫ ফিফটির পর শেষদিনে রোমাঞ্চের অপেক্ষা

    সেন্ট্রালের ৫ ফিফটির পর শেষদিনে রোমাঞ্চের অপেক্ষা    

    তৃতীয় দিনশেষে 
    সেন্ট্রাল জোন ১১৮ ও ৩৯৩ (মার্শাল ৭০, মজিদ ৬৭, তাইবুর ৫৯, পিনাক ৫৩, শহিদুল ৫০*, আশরাফুল ৪/৩৪, হাসান ৩/৬০) 
    ইস্ট জোন ১৮৬ ও ৭১/২*


    একজনও সেঞ্চুরি পাননি, তবে পাঁচ ফিফটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯৩ রান তুলে ইস্ট জোনকে ৩২৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে সেন্ট্রাল জোন। জবাবে দিনশেষে ৭১ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে ইস্ট জোন। শেষদিনে তাদের প্রয়োজন ২৫৫ রান, সেন্ট্রাল জোনের প্রয়োজন ৮ উইকেট। 

    ২ উইকেটে ১৩৯ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল সেন্ট্রাল জোন। আগেরদিনের ব্যক্তিগত স্কোরের সঙ্গে ১ রান যোগ করে মোহাম্মদ আশরাফুলের বলে শুরুতে ফিরেছিলেন পিনাক ঘোষ। ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হওয়ার আগে মার্শাল আইয়ুবকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়েছেন শুভাগত হোম। ৫ম উইকেটে তাইবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে মার্শালের জুটি ৯২ রানের, লাঞ্চের আগে-পরে বিস্তৃত ছিল যেটা। আবু জায়েদের বলে মার্শাল ক্যাচ দেওয়ায় ভেঙেছে সে জুটি, মার্শাল করেছেন ৯২ বলে ১০ চারে ৭০ রান। 

    এরপর দ্রুত ৩ উইকেট নিয়েছে ইস্ট জোন, জাকের আলি হয়েছেন রান-আউট, শরিফুল্লাহ ও তাইবুর বোল্ড হয়েছেন হাসান মাহমুদের বলে। তাইবুর করেছেন ১০২ বলে ৫৫ রান। ৩১২ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছে সেন্ট্রাল জোন, দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের লিড তখন ২৪৪ রানের। সেটিই যে শেষ পর্যন্ত গেল ৩২৫ পর্যন্ত, তাতে অবদান ৯ম উইকেটে শহিদুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেনের ৭৩ রানের জুটির। 

    এর আগে ৫ উইকেট নেওয়া শহিদুল আবারও জ্বলে উঠেছেন ব্যাটিংয়ে। বিসিএলের পাঁচ ইনিংসে টেইল-এন্ডে শহিদুলের রান এখন পর্যন্ত ৫৮, ৪১*, ১৬, ০ ও ৫০*- ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া ইনিংস খেলছেন তিনি একেকটা! ৩৩ রান করা শাহাদাত ও ২ রান করা সালাউদ্দিন শাকিলকে বোল্ড করে ইনিংস শেষ করেছেন আশরাফুল, শেষ পর্যন্ত ৩৪ রানে তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। 

    রানতাড়ায় শুরুটা অবশ্য সুবিধার হয়নি ইস্ট জোনের, তৃতীয় ওভারে শাকিলের বলে বোল্ড হয়েছেন শামসুর রহমান, ১১ রান করে। রনি তালুকদার ১২ রান করে ক্যাচ দিয়েছেন শাহাদাতের বলে। তৃতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান ও মোহাম্মদ আশরাফুলের জুটি অবিচ্ছিন্ন আছে ৫৬ রানে।