• নিউজিল্যান্ড-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    নিউজিল্যান্ডের অপেক্ষাটা বাড়ালেন মেন্ডিস-চান্ডিমাল

    নিউজিল্যান্ডের অপেক্ষাটা বাড়ালেন মেন্ডিস-চান্ডিমাল    

    চতুর্থ দিন শেষে

    নিউজিল্যান্ড ১৭৮ ও ৫৮৫/৫ ডিক্লে

    শ্রীলঙ্কা ১০৪ ও ২৩১/৬ (মেন্ডিস ৬৭, চান্ডিমাল ৫৬, পেরেরা ২২*, লাকমল ১৬*; ওয়াগনার ৩/৪৭)


     

    পরাজয় একরকম অবধারিতই ছিল একরকম। দুই দিনেরও বেশি সময়ে ৬৬০ রান তাড়া করতে নামাটা তো আসলে একরকম অসম্ভবই। শ্রীলঙ্কা অবশ্য বিনা যুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনীও ছেড়ে দিচ্ছে না, দাঁতে দাঁত কামড়ে পার করে দিয়েছে চতুর্থ দিন। তারপরও ৪ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ দিন কাটিয়ে দেওয়ার আশাটা একটু বাড়াবাড়ি। ক্রাইস্টচার্চের শেষ দিনে বৃষ্টিরও পূর্বাভাস নেই, নিউজিল্যান্ড তাই সিরিজ জয়ের আশায় বিভোর হতেই পারে।

    স্কোরকার্ডে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেট হারিয়েছে দেখালেও আসলে উইকেট হারিয়েছে সাতটি। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, ২২ রানেই আহত অবসরে যেতে হয়েছে তাঁকে। ঘটনার শুরু অবশ্য ১৪ রানে, ট্রেন্ট বোল্টের বলে দুই রান ন্দেওয়ার সময় চোট পান। এরপর খানিকক্ষণ ব্যাট করেছিলেন, কিন্তু বেশিক্ষণ আর চালিয়ে যেতে পারেননি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যাচ্ছে না, চোত কতটা গুরুতর। তবে তেমন পরিস্থিতি না হলে সেই সম্ভাবনা কমই বলা যায়।

    তার আগে শ্রীলঙ্কাকে সকালের সেশনে টেনে নিয়ে গেছেন চান্ডিমাল ও মেন্ডিস। বোল্ট-সাউদির সুইং সামলাচ্ছিলেন ভালোমতোই, ওয়াগনারের বাউন্সও দুজনকে টলাতে পারেনি। সকালের সেশনে তাই কোনো উইকেট হারায়নি শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে মেন্ডিস ১১৩ বলে পেয়েছেন ফিফটি, এই বছর কোহলির পর মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ১ হাজার রান হয়েছে তাঁর। ২৩ বছরেই এই কীর্তি হলো মেন্ডিস, এমনকি রুট-কোহলি-স্মিথ-উইলিয়ামসনদের কারও এই বয়সে তা ছিল না।

    তবে ৬৭ রান করে শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে গেছেন মেন্ডিস। ওয়াগনারের বলে একস্ট্রা কাভারে দারুণ এক ক্যাচ ধরেছেন বদলি ফিল্ডার ম্যাট হেনরি। এরপর ম্যাথুস নেমেও মাঠ ছাড়লেন, শ্রীলঙ্কার আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। চান্ডিমাল এরপরও টিকে ছিলেন বেশ কিছুক্ষণ, তবে ২২৭ বলে ৫৬ রানের ম্যারাথন ইনিংসটা শেষ হয়ে গেল ওয়াগনারের বলেই শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে। ১৫৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা, কার্যত যা পাঁচটি।

    রোশেন সিলভা, ডিকভেল্লারাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ২০৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা তখন আরও বিপদে। তবে বাকি ওভার দশেক নিরাপদে কাটিয়ে দিয়েছেন দিলরুয়ান পেরেরা ও সুরঙ্গা লাকমল। পেরেরা ব্যাট করছিলেন ২২ রানে, লাকমল ১৬ রানে। কাল দুজনকে ব্যাট করতে হবে আরও অনেক অনেক ক্ষণ।