• নিউজিল্যান্ড-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    অবিশ্বাস্য পেরেরাও জেতাতে পারলেন না শ্রীলংকাকে

    অবিশ্বাস্য পেরেরাও জেতাতে পারলেন না শ্রীলংকাকে    

     

    স্কোর

    নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৩১৯ ( টেলর ৯০, মানরো ৮৭, নিশাম ৬৪; মালিঙ্গা ২/৪৫, প্রদীপ ১/৫৯)

    শ্রীলংকা ৪৬.২ ওভারে ২৯৮ (পেরেরা ১৪০, গুনাথিলাকা ৭১; সোধি ৩/৫৫, নিশাম ২/৪৮)

    নিউজিল্যান্ড ২১ রানে জয়ী

     

    একটা করে ছয় হচ্ছে, কেন উইলিয়ামসন ও নিউজিল্যান্ডের দুশ্চিন্তাটাও বাড়ছে বহুগুণ। এই ম্যাচ কি তাহলে জিতেই যাবে শ্রীলংকা! মাত্র ১২৮ রানেই ৭ উইকেট হারানো লংকানদের অসম্ভব এক জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিলেন থিসারা পেরেরা। চার-ছয়ের পসরা সাজিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা পেরেরা লড়লেন শেষ পর্যন্ত। তবে তাঁর লড়াইটা বৃথাই গেছে। রোমাঞ্চকর এক সমাপ্তিতে শ্রীলংকাকে ২১ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল কিউইরা।

    ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচ্যগ্র মেদিনী’। পেরেরা হয়ত আজ এই মন্ত্রেই উজ্জীবিত হয়েছিলেন। ৩২০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে শ্রীলংকাকে আশা দেখাচ্ছিলেন দানুস্কা গুনাথিলাকা। ৭৩ বলে ৭১ রান করা গুনাথিলাকা ফেরেন জেমস নিশামের বলে, সেইফার্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। এরপরই শুরু ব্যাটিং বিপর্যয়ের। মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানেই ৫ উইকেট হারায় শ্রীলংকা।

    ২৭ ওভারে ১২৮ রানে নেই ৭ উইকেট। ৩২০ রানের লক্ষ্য তো দূরে থাক, পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করাই তখন লংকানদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তখনই শুরু পেরেরার অবিশ্বাস্য সেই প্রতিরোধ। চার ছয়ে বন্যা বইয়ে মাত্র ৫৭ বলেই করেন সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে আটটি চার মেরেছেন তিনি, ছয়ের সংখ্যা ১৩!

    সেঞ্চুরির পর আরও মারমুখী ছিলেন পেরেরা। টিম সাউদির করা ৪৬ তম ওভারে পেরেরা মেরেছেন চারটি ছয়। ২৪ বলে তখন দরকার ২৬ রান, হাতে এক উইকেট। ম্যাচটা যেতে পারত শেষ বল পর্যন্ত, তবে পেরেরা ফেরেন ৪৭ তম ওভারেই। ম্যাট হেনরির ওভারে প্রথম বলে তিন রান উঠলে স্ট্রাইকে আসেন পেরেরা। দ্বিতীয় বলেই থামে তাঁর লড়াকু ইনিংস। লং অনে সজোরে মেরেছিলেন, ছয় না হলেও চার হতে পারত। তবে সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৭৪ বলে ১৪০ রান করে থামেন পেরেরা।

    গতদিনের মতো আজও বড় সংগ্রহ দাড় করায় নিউজিল্যান্ড। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা কিউইদের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মার্টিন গাপটিল করেছেন ১৩ রান, কেন উইলিয়ামসন করেছেন মাত্র এক। ৩৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে পথ দেখান কলিন মানরো ও রস টেলর। দুজনের জুটিই বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। মানরো-টেলর রান তুলেছেন ঝড়ের গতিতে, মাত্র ১৮ ওভারেই আসে ১১২ রান।

    সেঞ্চুরির খুব কাছেও গিয়েও হতাশ হতে হয়েছে দুজনকেই। মানরো-টেলর দুজনেই হয়েছেন রান আউট। ৮৭ রানে মানরোকে রান আউট করেন লক্ষণ সানদাকান, ৯০ রানে সেই সানদাকানের থ্রোতেই ফিরতে হয় টেলরকে।

    আগের ম্যাচের মতো আজও তান্ডব চালিয়েছেন জেমস নিশাম। পাঁচ চার ও তিন ছয়ে মাত্র ৩৭ বলে করেছেন ৬৪। নিশাম ঝড়ে নিউজিল্যান্ড তোলে ৩১৯ রান। পেরেরা ঝড়ে একটা সময় এই স্কোর কম মনে হলে শেষ পর্যন্ত এটাই যথেষ্ট হয়েছে জয়ের জন্য।