• নিউজিল্যান্ড-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    বছরের প্রথম সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে জেতালেন গাপটিল

    বছরের প্রথম সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে জেতালেন গাপটিল    

    স্কোর

    নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৩৭১/৭ (গাপটিল ১৩৮, উইলিয়ামসন ৭৬, নিশম ৪৭*; প্রদীপ ২/৭২, মালিঙ্গা ২/৭৮, পেরেরা ২/৮০)

    শ্রীলংকা ৪৯ ওভারে ৩২৬ ( পেরেরা ১০২, ডিকভেলা ৭৬; নিশম ৩/৩৮, সোধি ২/৫২)

    নিউজিল্যান্ড ৪৫ রানে জয়ী

    ম্যান অফ দা ম্যাচ- মার্টিন গাপটিল​

    শ্রীলংকার সামনে লক্ষ্য ছিল পাহাড় সমান। ৩৭২ রান পুঁজি থাকলেও লংকানদের রান তাড়া করার পুরোটা সময়ই খুব বেশি স্বস্তিতে ছিলেন না নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কুশল পেরেরার দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি ও নিরোশান ডিকভেলার ঝড়ো ইনিংস শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারেনি শ্রীলংকাকে। ২০১৯ সালের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছেন মার্টিন গাপটিলই। প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলংকাকে ৪৫ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কিউইদের। ২৩ রানের মাথায় ফেরেন কলিন মানরো। লাসিথ মালিঙ্গার স্লোয়ারে মারতে দিয়ে পয়েন্টে সান্দাকানের হাতে কাচ দিয়ে ফেরেন তিনি, রান করেছেন ১৩। দ্বিতীয় উইকেটে গাপটিল ও উইলিয়ামসনের জুটিতেই বড় স্কোরের ভিত গড়ে নিউজিল্যান্ড। ২৬ ওভার ব্যাট করে এই জুটি তুলেছে ১৬৩ রান। গাপটিল ও উইলিয়ামসন দুজনেই রান তুলেছেন বলের সাথে পাল্লা দিয়ে। ফিফটি পেলেও সেঞ্চুরি থেকে ২৪ রান দূরে থাকতে ফিরতে হয় কিউই অধিনায়ককে। নুয়ান প্রদীপের বলটা থার্ড ম্যানের দিকে পাঠাতে গিয়ে হন বোল্ড, ৭৬ রানেই একরাশ হতাশা নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় উইলিয়ামসনকে।

    উইলিয়ামসন সেঞ্চুরি বঞ্ছিত হলেও এই বছরের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন গাপটিল। ১১ চার ও ৫ ছয়ে সাজান দারুণ এই ইনিংসে গাপটিল করেছেন ১৩৯ বলে ১৩৮ রান। সেঞ্চুরি করার পথে পূর্ণ করেছেন ওয়ানডেতে ছয় হাজার রানও। সেঞ্চুরির পর কিছুটা মারমুখী হয়েছিলেন, পেরারর বলে মারতে গিয়ে পয়েন্টে সানদাকানের হাতে তালুবন্দি হলে থামে গাপটিল ঝড়।

    গাপটিল ফিরলে কিছুটা কমবে রানের গতি, লংকানদের এই আশায় পানি ঢালেন রস টেলর ও জেমস নিশম। ৬ চার ও দুই ছয়ে টেলর করেন ৫৪ রান। তবে শ্রীলংকান বোলারদের ওপর রীতিমত তান্ডব চালিয়েছেন প্রায় দেড় বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা নিশম। ঝড়টা বেশি গেছে পেরেরার ওপর দিয়ে। ৪৯ তম ওভারে নিশম ঝড়ে উঠেছে ৩৪ রান! এই ওভারে পাঁচটি ছক্কা মেরেছেন তিনি, ১৩ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিতই থেকেছেন নিশম। শেষ পাঁচ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৭৩ রান, শেষ দুই ওভারের রান ৪৯!

    ৩৭২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ হয়েছিল লংকানদের। ওপেনিং জুটিতে ১১৯ রান তোলেন ডিকভেলা ও দানুস্কা গুনাথিলাকা। ডিকভেলা ছিলেন একটু বেশি আক্রমণাত্মক মুডে, ৮ চার ও তিন ছয়ে ৫০ বলে করেছেন ৭৬ রান। গুনাথিলাকা অবশ্য ফিফটি পাননি। ৪৩ রানে গুনাথিলাকাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন নিশম। লেগ সাইডে মারতে গিয়ে সেইফার্তের হাতে তালুবন্দি হন তিনি। পরের ওভারেই ডিকভেলাকে ফেরান নিশমই, অফ ষ্ট্যাম্পের বাইরের বল মারতে গিয়ে হয়েছে বোল্ড, ফেরার আগে করেছেন ৭৬ রান।

    এরপরই শুরু পেরেরার  প্রতিরোধের। কুশল মেন্ডিস, দীনেশ চান্ডিমাল কিংবা আসেলা গুনারত্নে; পেরেরাকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। তবে একাই লড়াইটা চালিয়ে গেছেন পেরেরা। ১৩ রান ও এক ছয়ে পেরেরা খেলেছেন ১০২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। তিনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ক্ষীণ হলেও অবিশ্বাস্য এক জয়ের স্বপ্ন দেখছিল শ্রীলংকা। 

    ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পাওয়ার পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পেরেরা। ট্রেন্ট বোল্টের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তাঁর আউটের পরপরই শেষ হয়ে যায় লংকানদের জয়ের শেষ আশাটুকুও। শেষ পর্যন্ত ৩২৬ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা।