• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    রোনালদো জিতলেন, রোনালদো জেতালেন

    রোনালদো জিতলেন, রোনালদো জেতালেন    

    সিরি আতে দুইয়ে থাকা নাপোলির চেয়ে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে জুভেন্টাস। লিগ জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে মৌসুমের অর্ধেক না পেরুতেই। কোপা ইতালিয়াতেও ফেভারিট তারা, আর চ্যাম্পিয়নস লিগেরও সবচেয়ে বড় দাবিদার। মৌসুমটা সোনায় মোড়ানো হতে পারে জুভেন্টাসের। সেই পথে প্রথম পদক্ষেপটাও রাখল তারা। এসি মিলানকে ১-০ গোলে সুপার কোপা ইতালিয়ার শিরোপা জিতেছে তুরিনের ওল্ড লেডিরা। ইতালিতে নিজের প্রথম শিরোপা জয়ের রাতটা রোনালদোর জন্য আরও স্মরণীয় হয়েছে, জুভেন্টাসকে জয় এনে দেওয়া গোলটি এসেছে তার কাছ থেকেই। জুভেন্টাস পেয়েছে মৌসুমের প্রথম শিরোপা আর রোনালদো তার কারিগর- যেন গল্পের মতোই সত্যি হয়েছে বিয়াঙ্কোনেরিদের স্বপ্ন। 

    আগের মৌসুমে সিরি আ আর কোপা ইতালিয়া দুই শিরোপাই জিতেছিল জুভেন্টাস। কোপা ইতালিয়ার রানার আপের সঙ্গেই তাই সুপার কোপার ম্যাচ। সৌদি আরবের জেদ্দায় হওয়া ম্যাচে মিলানকে হারিয়ে এই নিয়ে মোট ৮ বার সুপার কোপা জিতল জুভেন্টাস। তাতে সবচেয়ে বেশি এই শিরোপা জয়ের রেকর্ডও হয়ে গেছে ম্যাক্সিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির দলের।        



    যদিও প্রথমার্ধে একবারও গোলে শট করতে পারেনি জুভেন্টাস, চলতি মৌসুমে এমনটা হলো মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো। অবশ্য ডগলাস কস্তা একবার অল্পের জন্য গোল পাননি বারপোস্টে বাধা পেয়ে। হোয়াও ক্যানসেলোর কোণাকুণি শটও অল্পের জন্য চলে  যায় বাইরে দিয়ে। প্রথমার্ধের ৩ মিনিট বাকি থাকতে রোনালদোও ভলি করেছিলেন একবার, কিন্তু সে দফায় তিনিও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি শট।

    মিলানের একাদশে ছিলেন গঞ্জালো হিগুয়াইন। প্যাট্রিক কুত্রোনে, হাকান চালহানগ্লুরাও অবশ্য প্রথমার্ধে ব্যস্তই রেখেছিলেন জুভেন্টাস রক্ষণকে। প্রথমার্ধের শেষদিকে ভোচায়িক সেজনির দারুণ সেভ গোলবঞ্চিত করে চালহানগ্লুকে। বিরতির পর যেন সেখান থেকেই শুরু করলো মিলান। ৪৮ মিনিটে কুত্রোনের বাম পায়ের শট সেজনিকে ফাঁকি দিলো, কিন্তু বারপোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়াল। নইলে জেনেরো গাত্তুসোর দলও এগিয়ে যেতে পারত তখন।

    জুভেন্টাস অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে সময়ের সঙ্গে গুছিয়ে নিতে থাকে নিজেদের। ৫৮ মিনিটে প্রথম গোলে শট রোনালদোই। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের জোরালো শট তখন ঠেকিয়ে দেন জিয়ানলুইজি ডোনারুমা। কিন্তু এর ৩ মিনিট আর কেউই আটকে রাখতে পারেনি রোনালদোকে। মিরালেম পিয়ানিচের মাথার ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারা বলে হেডে গোল করে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন জুভেন্টাসের সবচেয়ে বড় তারকাই। শেষ পর্যন্ত ওই গোলেই নির্ধারণ হয়েছে ম্যাচের ফল।

    পিছিয়ে পড়ার পর অবশ্য কাজটা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল মিলানের জন্য। ৭৪ মিনিটে এমেরে চানকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ফ্রাঙ্ক কেসিয়ে। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার আগে অবশ্য হিগুয়াইনকে নামিয়ে দিয়েছিলেন গাত্তুসো। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার শেষ পর্যন্ত হতাশই করেছেন মিলান ম্যানেজারকে। যদিও ম্যাচ শেষে গাত্তুসোর হতাশা বেড়েছে অন্য কারণে। ৮৬ মিনিটে একটা পেনাল্টি পেতে পারত তার দল। আন্দ্রে কন্তিকে ডিবক্সের ভেতর ফাউল করেছিলেন চান। রেফারির চোখ এড়িয়ে গেছে সে ঘটনা, ভিএআরও সিদ্ধান্ত বদলায়নি। কিন্তু টিভি রিপ্লে দেখে পেনাল্টিটা প্রাপ্যই মনে করতে পারেন গাত্তুসো। ম্যাচ শেষে রেফারির সঙ্গে কথাও বলেছেন মাঠে।  কিন্তু তার আগেই রোনালদো আর জুভেন্টাসের উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল মৌসুমের প্রথম শিরোপা জয়ের।