• ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    অবিশ্বাস্য হোল্ডার-ডাওরিচে পিষ্ট ইংল্যান্ড

    অবিশ্বাস্য হোল্ডার-ডাওরিচে পিষ্ট ইংল্যান্ড    

    স্কোর

    তৃতীয় দিন শেষে

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৮৯ ও ১০৩.১ ওভারে ৪১৫/৬ (হোল্ডার ২০২*, ডাওরিচ ১১৬*; মঈন ৩/৭৮, স্টোকস ২/৮১)

    ইংল্যান্ড ৭৭ ও ২০ ওভারে ৫৬/০ ( বার্নস ৩৯*, জেনিংস ১১*)

    জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আরও ৫৭২ রান

     

     

     

    দ্বিতীয় দিনের শেষে স্কোরবোর্ডে যখন ১২৭ রান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডারের ছয়জন ব্যাটসম্যান তখন প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। ততক্ষণে তাদের লিড অবশ্য ৩০০ ছাড়িয়েছে। তবুও তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত ক্যারিবিয়ানদের লেজ গুটিয়ে জয়ের জন্য লড়াইয়ের কিছুটা আশা জেগেছিল ইংল্যান্ডের। এরপর পুরো দিনে যা হলো, সেটা হয়ত পাড় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সমর্থকরাও কল্পনা করেননি! অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের অবিশ্বাস্য এক ডাবল সেঞ্চুরি ও শন ডাওরিচের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের ওপর পাহাড় সমান রানের বোঝা চাপিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের দুজনের এই জুটিতেই ম্যাচে জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে গেছে জো রুটের দলের।

    আগের দিন যেখানে পড়েছিল ১৮ উইকেট, তৃতীয় দিনে সেখানে পড়ল না এক উইকেটও! পুরো কৃতিত্বটাই হোল্ডার-ডাওরিচের সেই জুটির। দিনের শুরু থেকেই ইংলিশ বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে লিড ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যেতে থাকেন দুইজন। বারবার বোলিংয়ে পরিবর্তন এনেও রুট কোনো সুবিধা করতে পারেননি।

    ডাওরিচ কিছুটা দেখে শুনে খেললেও হোল্ডার ছিলেন বিধ্বংসী মুডে। মাত্র ৯৯ বলেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর একইভাবে ব্যাট করেছেন তিনি। ২৩ চার ও ৮ ছয়ে হোল্ডার পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিও।

     

    হোল্ডারের মতো দ্রুতগতিতে না হলেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডাওরিচও। চা বিরতির পরপরই ১৯৮ বলে তিনিও করেছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি, মেরেছেন ১১ টি চার ও একটি ছয়। হোল্ডার-ডাওরিচ জুটি সপ্তম উইকেটে তোলে ২৯৫ রান, টেস্টে সপ্তম উইকেটে এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ। এরই মাঝে লিড পেরিয়েছে ৬০০ রান, অপেক্ষা ছিল শুধু হোল্ডারের ডাবল সেঞ্চুরির। হোল্ডার ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁলেই ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    লক্ষ্য ৬২৮। জিততে হলে গড়তে হবে রেকর্ড, ম্যাচ বাঁচাতেও ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে হবে টানা দুইদিনেরও বেশি। প্রথম ইনিংসে ৭৭ রানে অলআউট হওয়ার দুঃস্বপ্নের পর কাজটা আরও কঠিনই তাদের জন্য। তৃতীয় দিনের শেষের দেড় ঘণ্টায় অবশ্য রোরি বার্নস ও কেটন জেনিংস বেশ দৃঢ়তার সাথে সামাল দিয়েছেন পরিস্থিতি। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য এখনো তাদের দরকার ৫৭২ রান। শেষ পর্যন্ত ইংলিশরা ম্যাচ বাঁচাতে পারে কিনা, এটাই এখন বড় প্রশ্ন।