ইংল্যান্ডকে সিরিজ জিততে দিলেন না থমাস-গেইল
স্কোর
ইংল্যান্ড ২৮.১ ওভারে ১১৩ ( বাটলার ২৩, হেলস ২৩; থমাস ৫/২১, ব্রাথওয়েট ২/১৭)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২.১ ওভারে ১১৫/৩ ( গেইল ৭৭, হেটমেয়ার ১১*; উড ২/৫৫)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী
খেলা ছিল ১০০ ওভারের, শেষ হলো মাত্র ৪০ ওভারেই। ইংল্যান্ড ব্যাট করেছে ২৮ ওভার, তাদের দেওয়া লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছুঁয়েছে মাত্র ১২ ওভারেই! সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ওশান থমাসের বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর ক্রিস গেইল ঝড়ে ইংল্যান্ডকে সাত উইকেটে হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। গেইলদের এই জয়ে সিরিজ শেষ হলো ২-২ এ।
টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন জেসন হোল্ডার। তৃতীয় ওভারেই জনি বেইরস্টোকে বোল্ড করে প্রথম আঘাত আনেন শেলডন কটরেল। পাঁচ বল পরেই এক রান করে ফেরেন জো রুটও। অ্যালেক্স হেলস ও এউইন মরগান কিছুটা প্রতিরোধের আভাস দিচ্ছিলেন। তৃতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ৩৯ রান।
এই জুটিকে ক্রিজে বেশিক্ষণ থিতু হতে দেয়নি ক্যারিবিয়ানরা। কার্লোস ব্রাথওয়েটের বলে ২৩ রান করা হেলস উইকেটের পেছনে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। এরপরই শুরু থমাস 'ম্যাজিক'। মরগানকে থমাস ফিরিয়েছেন নিজের দ্বিতীয় ওভারে। ফাইন লেগে কটরেলের হাতে তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় তার রান ছিল ১৮।
এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি ছয়ের রেকর্ড
ক্রিস গেইল (৩৯টি), প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড (২০১৯)
ক্রিস গেইল(২৬টি), ওয়ানডে বিশ্বকাপ (২০১৫)
রোহিত শর্মা (২৩টি), প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া (২০১৩-১৪)
আগের ম্যাচে নায়ক জস বাটলার ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারকে সাথে নিয়ে আবার প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি থমাসের কারণেই। ইংল্যান্ডের শেষ ৬ উইকেট পড়েছে মাত্র ২৫ রানে! ৮৮ রানে ৪ উইকেট থেকে ১১৩ রানেই গুটিয়ে যায় রুটের দল। তাদের ইনিংস স্থায়ী হয়েছে মাত্র ২৮ ওভার। পাঁচ ওভার বল করে থমাস নিয়েছেন ২১ রানে পাঁচ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটি
ক্রিস গেইল (১৯ বল)- প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড ( ২০১৯)
ড্যারেন স্যামি (২০ বল) - প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা (২০১০)
ব্রায়ান লারা (২৩ বল)- প্রতিপক্ষ কানাডা (২০০৩)
লক্ষ্য মাত্র ১১৪। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়টা ছিল সময়ের ব্যাপার। এই মামুলি লক্ষ্যকে আরো মামুলি বানিয়ে দিয়েছে গেইলের ব্যাটিং। সিরিজে দুই সেঞ্চুরি করা গেইল কালও ব্যাট হাতে তান্ডব চালিয়েছেন। ২৭ বলে ৭৭ রান করে মার্ক উডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন গেইল। গেইল ক্রিজে ছিলেন মাত্র আট ওভার, এই অল্প সময়েই মেরেছেন নয়টি ছয় ও পাঁচটি চার!
শেষ পর্যন্ত ৩৮ ওভারে বাকি রেখেই জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওভারের হিসেবে এতো বড় ব্যবধানে আগে কখনোই হারেনি ইংল্যান্ড।