বিলিংস ৮৭, রুট ৫৫... উইন্ডিজ ৪৫
ইংল্যান্ড ১৮২/৬, ২০ ওভার
উইন্ডিজ ৪৫ অল-আউট, ১১.২ ওভার
ইংল্যান্ড ১৩৭ রানে জয়ী
সেন্ট কিটসে ৪৫ রানে অল-আউট হয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন ও সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নেদারল্যান্ডসের ৩৯ রানের স্কোর পেরিয়ে গেলেও নেপালকে ছাড়ানো হয়নি তাদের। ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৮৩ রান তাড়া করতে গিয়ে তারা হেরেছে ১৩৭ রানে। রানের হিসেবে চতুর্থ বৃহত্তম জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। এ জয় দিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজও এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে গেছে তারা।
শিমরন হেটমায়ার ও কার্লোস ব্রাথওয়েট- দুইজন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান শুধু ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক। বাকি আটজনের স্কোর এমন- ৫, ৭, ০, ০, ১, ১, ৮, ২, ১। ২ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন পেসার ক্রিস জর্ডান।
প্রথম দুই আঘাত করেছিলেন ডেভিড উইলি, ক্রিস গেইল ও শেই হোপকে ফিরিয়ে। এরপর জর্ডানের তোপে একে একে ফিরেছেন ড্যারেন ব্রাভো, জ্যাসন হোল্ডার, নিকোলাস পুরান ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। ২২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে নেদারল্যান্ডসের রেকর্ডটা ভাঙার পথেই ছিল উইন্ডিজ।
শেষ পর্যন্ত হয়নি সেটা, মূলত ব্রাথওয়েটের ৪ বলে ১০ ও দেবেন্দ্র বিশুর ২০ বলে ৮ রানের ইনিংসে। রশিদ ফিরিয়েছেন ব্রাথওয়েট ও কটরেলকে, আর বিশুর উইকেট নিয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। তবে তখনও নেপালকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি উইন্ডিজ। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৯ রানে অল-আউট হয়েছিল নেদারল্যান্ডস, আর তার পরের বছর নেপাল ৫৩ রানে অল-আউট হয়েছিল বেলফাস্টে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে জো রুটের ৪০ বলে ৫৫ ও ছয়ে নামা স্যাম বিলিংসের ৪৭ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে ১৮২ পর্যন্ত গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল তারা, রুট ও বিলিংসের জুটিতে ৮২ রান। শেষ বলে গিয়ে আউট হওয়ার আগে বিলিংস মেরেছেন ১০টি চার ও ৩টি ছয়। ডেভিড উইলির সঙ্গে জুটিতে উঠেছে ২৫ বলে ৬৮ রান, যেখানে বিলিংসের অবদান ১৬ বলে ৫৩ রান!
উইন্ডিজ তো পেরিয়ে যেতে পারেনি সেটাই!