বেইরস্টো-কারানে ইংল্যান্ডের সহজ জয়
স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ১৬০/৮ ( পুরান ৫৮, ব্রাভো ২৮; কারান ৪/৩৬, জর্ডান ২/১৬)
ইংল্যান্ড ১৮.৫ ওভারে ১৬১/৬ ( বেইরস্টো ৬৮, ডেনলি ৩০; কটরেল ৩/২৯)
ইংল্যান্ড চার উইকেটে জয়ী
ওয়ানডে সিরিজে দলের প্রয়োজনের সময় খুব বেশি জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতেই অবশ্য হাসল জনি বেইরস্টোর ব্যাট। সেন্ট লুসিয়াতে টম কারানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর বেইরস্টোর ঝড়ো ব্যাটিংয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চার উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেলো এউইন মরগানের দল।
লক্ষ্য ছিল ১৬১। তবে তিন ওভারের মাঝে অ্যালেক্স হেলস ও জো রুটকে হারিয়ে কিছুটা চাপেই পড়েছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে একাই টেনে নিয়ে গেছেন বেইরস্টো। ৯ চার ও দুই ছয়ে সাজানো ইনিংসে ফিফটি পেয়েছেন মাত্র ২৭ বলে।
হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পরপরই বেইরস্টোকে ফেরাতে পারত ক্যারিবিয়ানরা। অ্যাশলি নার্সের বলে লং অফে তাঁর ক্যাচ ফেলেন কটরেল, তখন বেইরস্টোর রান ৫২। ১১ ওভারের মাঝেই ১০০ ছোঁয় ইংলিশদের ইনিংস। বেইরস্টোকে ফিরিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ম্যাচে ফিরিছিলেন নার্স। ৬৮ রান করে লং অনে কার্লোস ব্রাথওয়েটের হাতে তালুবন্দি হয়ে ফেরেন বেইরস্টো।
বেইরস্টো ফিরলেও ইংল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন জো ডেনলি। স্যাম বিলিংসকে নিয়ে তাঁর ৫০ রানের জুটিই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ডেনলি যখন ৩০ রান করে ফেরেন, ততক্ষণে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। সাত বল হাতে রেখেই প্রথম ম্যাচ জিতে নেয় মরগানরা।
ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন মরগান। ওয়ানডের মতো এদিন জ্বলে ওঠেনি ক্রিস গেইলের ব্যাট। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। স্রোতের বিপরীতে একপ্রান্ত আগলে শুধু দাড়িয়ে ছিলেন নিকোলাস পুরান। ৩ চার ও চার ছয়ে তাঁর ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংসের সুবাদেই লড়াই করার মতো স্কোর দাড় করাতে পেরেছে দল। বল হাতে ৩৬ রানে চার উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেছেন কারান। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ক্রিস জর্ডানও, ফিরিয়েছেন গেইল ও ব্রাভোকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৮ মার্চ সেন্ট কিটসে হবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।