ইংল্যান্ডের আশা বাঁচিয়ে রাখলেন ব্রড
স্কোর
দ্বিতীয় দিন শেষে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১১ ওভারে ২৭২/৬ ( ব্রাথওয়েট ৪৯, ক্যাম্পবেল ৪৭, ব্রাভো ৩৩*, ব্রড ৩/৪২, মঈন ২/৫৪)
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংসে ১৮৭
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮৫ রানে এগিয়ে
প্রথম দিনে ছিল ক্যারিবিয়ান পেসারদের দাপট। কিমার রোচ ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের তোপে মাত্র ১৮৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় দিনে অবশ্য বল-ব্যাটের লড়াইটা হয়েছে সমানে সমান। অ্যান্টিগাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিডটা ধরাছোঁয়ার বাইরে নিতে দেয়নি স্টুয়ার্ট ব্রডের দুর্দান্ত বোলিংই। তবুও দ্বিতীয় দিনশেষে চার উইকেট হাতে নিয়ে ইংল্যান্ডের চেয়ে ৮৫ রানে এগিয়ে থেকে চালকের আসনেই আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় ওভারেই ফিরতে পারতেন জন ক্যাম্পবেল। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে আউট হলে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। ব্রডের পরের ওভারে আবার জীবন পান ক্যাম্পবেল, স্লিপে তার ক্যাচ ছাড়েন জস বাটলার। শেষ পর্যন্ত এই বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়েই ফিরতে হয় ক্যাম্পবেলকে। হাফ সেঞ্চুরি থেকে তিন রান দূরে থাকতে বেন স্টোকসের বলে ক্যাম্পবেল ফিরলে ভাঙ্গে ৭০ রানের ওপেনিং জুটি।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রানের আরেকটি জুটি গড়েন ক্রেগ ব্রাথওয়েট ও শাই হোপ। ইংলিশ পেসারদের গতি ও বাউন্স দারুণভাবেই সামলেছেন দুজন। লাঞ্চ পর্যন্ত আর বিপদ হতে দেননি ব্রাথওয়েট-হোপ জুটি। লাঞ্চের পরপরই ফেরেন ব্রাথওয়েট, মঈন আলির বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার।
২২ রানের ব্যবধানে হোপ ও রস্টন চেজকে হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুজনকেই ফিরিয়েছেন ব্রড। হোপ উইকেটের পেছনে জনি বেইরস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন, চেজ হয়েছেন বোল্ড। শিমরন হেটমায়ার স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়েই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২১ রান করে লং অফে অ্যান্ডারসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মঈনের বলে মারতে গিয়ে।
শন ডাওরিচকে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লিড এনে দিয়েছেন ড্যারেন ব্রাভো। ২০ রানে ব্রডের বলে ব্রাভোর ক্যাচ ছাড়েন বাটলার। পরের ওভারে অ্যান্ডারসনের বলে এলবিডব্লিউ হলে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ডাওরিচ। শেষ পর্যন্ত ৩১ রান করে ডাওরিচ ফেরেন সেই ব্রডের বলেই। ব্রডের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্লিপে বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ডাওরিচ।
দিনের বাকি সময়টা আর বিপদ হতে দেননি ব্রাভো ও জেসন হোল্ডার। চার উইকেট হাতে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড ৮৫। পিচের এমন অবস্থায় আরো কিছু রানের লিড জমা করতে পারলেই হয়ত ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করতে পারে ক্যারিবিয়ানরা। অন্যদিকে ইংল্যান্ড চাইবে যত দ্রুত সম্ভব ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুটিয়ে দিতে।