ওয়ালশ-অ্যামব্রোসদের সেই কীর্তিটা গড়লেন হোল্ডার-রোচরা
ক্যারিবিয় সূর্য কি আবার দেখা দেবে ক্রিকেটের দিগন্তে? ইংল্যান্ডকে দুই টেস্টে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর সেই প্রশ্ন এখন উঠবেই, তবে সময়ই বলে দেবে উত্তরটা। আপাতত র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিবিয়রা আলো ছড়াতে শুরু করেছেনই। জেসন হোল্ডার গত সপ্তাহেই সাকিবকে টপকে টেস্ট অলরাউন্ডারের শীর্ষস্থানটা নিজের করে নিয়েছেন, এই সপ্তাহে অ্যাণ্টিগা টেস্টে জয়ের পর সেটি পাকাপোক্ত করেছেন আরও। কেমার রোচও বড় লাফ দিয়েছেন। সঙ্গে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল মিলে মনে করিয়ে দিয়েছেন ২২ বছর আগে ওয়ালশ-অ্যামব্রোসদের একটা কীর্তির। অন্যদিকে জেমস অ্যান্ডারসনকে টপকে প্যাট কামিন্স উঠে এসেছেন টেস্ট বোলারদের র্যাংকিংয়ের দুইয়ে।
হোল্ডার শুধু অলরাউন্ডার হিসেবেও নয়, এগিয়েছেন বোলার হিসেবেও। এই মুহূর্তে টেস্ট বোলারদের তালিকায় চার ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ছয়ে, সবশুদ্ধ তাঁর রেটিং পয়েন্ট এখন ৭৭৮। ২০০১ সালে কোর্টনি ওয়ালশের অবসরের পর থেকে এত বেশি পয়েন্ট পাননি আর কোনো উইন্ডিজ বোলার।
শুধু হোল্ডার নয়, শীর্ষ ১২র মধ্যে আছেন আরও দুজন ক্যারিবিয় বোলার। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল আছেন ১১তে। আর অ্যান্টিগা টেস্টে ৮ উইকেট নিয়ে আট ধাপ এগিয়ে ১২ নম্বরে উঠে এসেছেন কেমার রোচ। সর্বশেষ শীর্ষ ১২র মধ্যে তিন জন উইন্ডিজ বোলার থাকার ঘটনা ক্যারিবিয়দের স্বর্ণযুগের শেষ সময়ে। ১৯৯৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে শীর্ষ ১২র মধ্যে ছিলেন চার পেসার কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশ, ইয়ান বিশপ ও কেনি বেনজামিন।
অস্ট্রেলিয়ার পেসার কামিন্স ক্যানবেরা টেস্টে চার উইকেট নেওয়ার পর এক ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন দুইয়ে। তবে বড় লাফটা দিয়েছেন মিচেল স্টার্ক, ক্যানবেরা টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে ১০ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ১৫ নম্বরে। অসি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছেন ট্রাভিস হেড, ক্যানবেরায় সেঞ্চুরির পর ২৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ২০ নম্বরে।