• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    কোয়ার্টারে এক পা দিয়ে রাখল টটেনহাম

    কোয়ার্টারে এক পা দিয়ে রাখল টটেনহাম    

    ইনজুরির কারণে হ্যারি কেইন নেই, নেই ড্যালে আলিও। দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যাচে আগে তাই বেশ চাপেই ছিল টটেনহাম। প্রথমার্ধে দারুণ খেলে সেই চাপটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল ডর্টমুন্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সব হিসেব নিকেশ পাল্টে দিয়েছে টটেনহাম। সন-ভেরতোগেন-লরেন্তের গোলে ডর্টমুন্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারে এক পা দিয়ে রাখল লন্ডনের ক্লাবটি।

     

     

    প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণে টটেনহাম রক্ষণভাগের ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছেন ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ডরা। ম্যাচের প্রথম সুযোগ আসে ১৫ মিনিটে, ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের শট ঠেকিয়ে দেন টটেনহাম কিপার হুগো লরিস। পাঁচ মিনিট পর অ্যাক্সেল হুইটসেলকেও হতাশ করেন লরিস। ৩৪ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটেই আক্রমণে যায় ডর্টমুন্ড, টমাস ডেলানির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন লরিস। বিরতির ঠিক আগে অ্যাক্সেল জাগাডুর দারুণ এক হেড বাঁচিয়ে দিয়েছেন লরিস। লরিসের বীরত্বে প্রথমার্ধ তাই শেষ হয় গোলশূন্যভাবেই।

    দ্বিতীয়ার্ধেই বদলে যায় পুরো দৃশ্যপট। ৪৭ মিনিটে স্রোতের বিপরীতে টটেনহামকে এগিয়ে দেন হিউ মিন সন। ভেরতোগেনের ক্রসে বক্সের ভেতর বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি সন। এগিয়ে গিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় স্পারস। ৬০ মিনিটে এরিকসেনের শট ঠেকিয়ে দেন বারকি। পরের মিনিটেই এরিকসেনের ক্রসে টবি অ্যাল্ডারউঁরেল্ডের হেড বাঁচিয়ে দেন ডর্টমুন্ড কিপার। ৬৯ মিনিটে সমতা ফেরাতে পারত ডর্টমুন্ড, মাহমুদ দাহুন্ডের শট ঠেকিয়ে সেটা হতে দেননি লরিস।

    ৮৩ মিনিটে টটেনহামের দ্বিতীয় গোল আসে ভেরতোগেনের পা থেকে। বক্সের বাইরে বল পেয়েছিলেন, বাঁ পায়ের জোরালো শটে বারকিকে সহজেই পরাস্ত করেন। শেষ বাঁশি বাজার চার মিনিট আগে ফার্নান্দো লরেন্তের শটে তিন গোলের লিড নেয় স্পারস। ৮৪ মিনিটে মাঠে নেমেছিলেন লরেন্ত, বলে নিজের প্রথম ছোঁয়াতেই পেয়েছেন গোল। এরিকসেনের দারুণ এক ক্রসে হেড করে বল জালে জড়ান লরেন্ত।

    আট মৌসুম পর কোনো ইংলিশ দল জার্মান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নকআউট পর্বে ঘরের মাঠে জিতল।  ৫ মার্চ ফিরতি লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে মুখোমুখি হবে দুই দল। তিন গোলে পিছিয়ে থাকা ডর্টমুন্ডকে অবিশ্বাস্য কিছুই করে দেখাতে হবে কোয়ার্টারে যেতে হলে।