এবার আর 'একা' করতে চান না আশরাফুল
কিছুটা খেদ জানিয়েই বলেছিলেন কথাটা। গত বছর প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরি ছিল তাঁর, কিন্তু মোহাম্মদ আশরাফুলের ক্যাটাগরি থেকে গেছে আগেরটাই। আগের মতোই ১৫ লাখ টাকা পাচ্ছেন, এ নিয়ে খেদও জানিয়েছেন। তবে এসব ভুলেই এবার তাকাচ্ছেন নতুন প্রিমিয়ার লিগের দিকে, এবার অন্তত স্ট্রাইক রেট বাড়াতে চান আগের চেয়ে। গত বার সতীর্থদের সাহায্য পাননি , সেটাও মনে করিয়ে দিলেন।
গত বছর পাঁচটি সেঞ্চুরি করলেও আশরাফুলকে ঠিকই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। আশরাফুলের পাঁচটি সেঞ্চুরির একটিতে জিতেছিল দল, কলাবাগানকে পরে নেমে যেতে হয়েছে রেলিগেশনে। ৭৪ স্ট্রাইক রেট নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। প্রিমিয়ার লিগে যে ১৩জন ব্যাটসম্যান অন্তত ৫০০ রান করেছেন, তাঁদের মধ্যে আশরাফুলের চেয়ে কম স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র তিন জনের।
স্ট্রাইক রেটের জন্য আশরাফুল দায়ী করেছিলেন ফিটনেসকে। এবার সেই ফিটনেস সমস্যা নিয়েও কাজ করছেন বলে জানালেন, ‘এটা আসলে আমি মনে করি না (স্লো ব্যাটিং)। যদি ম্যাচের সিচুয়েশন দেখেন, সিচুয়েশন অনুযায়ী, শুরুতে হয়তো কয়েকটা ম্যাচে, তবে যেগুলো আমি সেঞ্চুরি করেছিলাম। সেগুলো সিচুয়েশন অনুযায়ী ঠিকই ছিল। কারণ মোহামেডানের সাথে আমি ১২৭ করেছিলাম ১২৩ বলে। তো হাতে থাকবে রান বেশি হবে তখন এক ধরনের খেলা, আবার উইকেট পড়ে গেলে আরেকরকমের খেলা হবে। তবে এটাও ঠিক লাস্ট ইয়ার থেকে আমি এখন অনেক ফিট। সবকিছু থেকে অনেক ইম্প্রুভ হয়েছে। লক্ষ্য তো থাকবেই স্ট্রাইক রেটটা যেন ভালো হয়। টিমের পারফর্মেন্সে অ্যাফেক্ট করে ওইভাবে চেষ্টা করব। যদি আনলাকি ছিল যে, সবাই যেই প্রশ্ন করে, টিমের পারফর্মেন্সে অ্যাফেক্ট হয় নাই। আসলে একা তো সম্ভব না। তো এইবার টিমটা খুব ভালো। আশা করি সবাই মিলে ভালো করব।’
আশরাফুলের দল মোহামেডান অবশ্য এবার ভালোই দল গুছিয়েছে। জাতীয় দলের লিটন দাস আছেন, পরীক্ষিত রকিবুল, আবদুল মজিদ, নাদিফ চৌধুরীরাও আছেন। আশরাফুল আগের চেয়ে বেশি সাহায্যের আশা করতেই পারেন। আশরাফুল নিজেও সেরকম মনে করছেন, ‘টিমটা খুব চমৎকার হয়েছে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সবার স্বপ্ন থাকে আবাহনী মোহামেডানে খেলার। আমি অতীতেও দুইবার খেলেছিলাম। লাস্ট যেই বার খেলেছিলাম আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম ঢাকা প্রিমিয়র লীগে। ’
৮ মার্চ থেকে শুরু প্রিমিয়ার লিগের আগেই অবশ্য আশরাফুলদের মাঠে নেমে যেতে হচ্ছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আশরাফুল সেটাকে ভালো একটা প্রস্তুতির সুযোগ হিসেবেই দেখছেন, ‘এটা খুবই ভালো প্রত্যেক দলের জন্য। কারণ টিম তৈরি করার জন্য কয়েকটা প্র্যাকটিস ম্যাচ প্রয়োজন হয়। তো সেটার আগে এই আয়োজনটা আমি মনে করি ৮ তারিখ যখন ম্যাচ শুরু হবে, তাঁর আগে আমরা যেই ৪টা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। ওয়ানডে ক্রিকেটের আগে একটা টিম কম্বিনেশন তৈরি করার জন্য খুব ভালো হয়েছে যে দুইটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব, প্রথম রাউন্ডে। তারপর সেমিফাইনাল-ফাইনাল আছে। ’