ইতিহাসগড়া ডাবলে রেকর্ডবুক তোলপাড় সৌম্যর
বিকেএসপি ৩ মাঠে যা হয়েছে সেটা সেটাকে এককথায় কী বলা যায়? অবিশ্বাস্য? অভূতপূর্ব। যে বিশেষণই ব্যবহার করা হোক, সেটাও আসলে কম মনে হবে। সৌম্য সরকার ও জহুরুল ইসলাম আজ যা করেছেন, বাংলাদেশের ক্লাব ক্রিকেট ইতিহাসেই তা কেউ দেখেনি আগে। স্বীকৃত ৫০ ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশের কেউ এই প্রথম ২০০ রান করলেন, বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই লিস্ট এ ক্রিকেটে ১১টির বেশি ছয় মারেননি এর আগে। সেখানে সৌম্য মেরেছেন ১৫টি, লিস্ট এর ইতিহাসেই এক ইনিংসের এর বেশি ছয় মারার রেকর্ড আছে ছয়টি। ও হ্যাঁ, শেখ জামালের ৩১৭ রানের লক্ষ্যটাও এক উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে আবাহনী। প্রিমিয়ার লিগে তাই শিরোপা ধরে রাখল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
রেকর্ডবুক আজ আক্ষরিক অর্থেই তছনছ হয়ে গেছে। লিস্ট এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড ছিল রকিবুল হাসানের। দুই মৌসুম আগে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের হয়ে সেই রান করেছিলেন রকিবুল। সৌম্য আজ ফিফটি করেছেন ৫২ বলে, ৭৮ বলে করেছেন সেঞ্চুরি। পরের পঞ্চাশও করেছেন ঠিক ২৬ বলেই, তার মানে ১০৪ বলে করেছেন ফিফটি। এরপর একটু স্লথ হয়ে গেছেন, ১৪৯ বলে ইমতিয়াজ হোসেনের বলে চার মেরে এসেছে ডাবল সেঞ্চুরি।
এর মধ্যেই বাংলাদেশের এ কারও লিস্ট এতে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার রেকর্ডও হয়ে গেছে। ১১টি ছক্কা ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজা, সৌম্য সরকার আর কয়েক দিন আগে সাইফ হাসানের। সৌম্য ছাড়িয়ে গেলেন সবাইকে। লিস্ট এ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ২৩টি ছয় মেরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ডা’রকি শর্ট, এরপর ১৭টি ছয় মেরেছিলেন নামিবিয়ার গেরি স্নাইম্যান। সৌম্য মেরেছেন ১৬টি ছয়, সমান ছয় মারার রেকর্ড আছে ক্রিস গেইল, রোহিত শর্মা আর এবি ডি ভিলিয়ার্সের। সৌম্য আর জহুরুল উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেছেন ৩১২ রান, বাংলাদেশের লিস্ট এ ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে ২০০৬-০৭ মৌসুমে চট্টগ্রামের হয়ে রাজশাহীর বিপক্ষে ২৯০ রান করেছিলেন মাহবুবুল করিম ও ধীমান ঘোষ। লিস্ট এর ইতিহাসে সৌম্য-জহুরুলের চেয়ে বেশি রানের জুটিই আছে মাত্র ৯টি। সর্বোচ্চ ৩৭২ রানের জুটিটা ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলস, ২০১৫ বিশ্বকাপে মানুকা ওভালে করেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।