• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    সৌম্য-জহুরুল-মিঠুনে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে আবাহনী

    সৌম্য-জহুরুল-মিঠুনে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে আবাহনী    

    আবাহনী ৫০ ওভারে ৩৭৭/৫ (সৌম্য ১০৬, জহুরুল ৭৫, মিঠুন ৬৪*; তাসকিন ২/৫৭, শহীদ ২/৬২)

    লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৫০ ওভারে ২৭৫/৭ (নাঈম ১২৩, শহীদ ৫৩; মিরাজ ৩/৬৫, মাশরাফি ২/২০)

    ফলঃ আবাহনী ১০২ রানে জয়ী


    বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতিতে একটা বড় চিন্তার জায়গা ছিল সৌম্য সরকারের রানখরা। নিউজিল্যান্ড থেকেই ফিরেই প্রিমিয়ার লিগ খেলা শুরু করেছেন, কিন্তু ১০ ম্যাচে সেঞ্চুরি দূরে থাক, ফিফটিই করতে পারেননি একবারও। অবশেশে রূপগঞ্জের বিপক্ষে অলিখিত ফাইনালেই ফিরলেন সৌম্য, বিস্ফোরক এক সেঞ্চুরিতে আবাহনীকে নিয়ে ৩৭৭ রানের পাহাড়ে। মোহাম্মদ নাঈমের সেঞ্চুরির পরও সেই পাহাড় টপকাতে পারেনি রূপগঞ্জ, থেমে গেছে ২৭৫ রানেই। এক ম্যাচ বাকি থাকতে আবাহনী ও রূপগঞ্জের পয়েন্ট সমান, হেড টু হেডেও এসেছে সমতা। আবাহনী রান রেটে এগিয়ে আছে অনেকখানি, শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা জিতলেই শিরোপা হয়ে যেতে পারে তাদের। 

    রূপগঞ্জের বিপক্ষে আজ শুরু থেকেই দারুণ আগ্রাসী ছিলেন সৌম্য। ৩৯ বলে পেয়েছিলেন ফিফটি, প্রথম ছয়টিও মেরেছেন তখন। ফিফটির পর আরও খুনে সৌম্য। এর মধ্যেই তাসকিনের এক ওভারে মেরেছেন পর পর তিনটি চার। লিস্ট এ ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি করতে লেগেছে মাত্র ৭১ বল। সেঞ্চুরির পর পরেই অবশ্য একটা চার মেরে আউট হয়ে গেছেন সৌম্য, বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মুমিনুলকে।

    জহুরুলের সঙ্গে জুটিতে অবশ্য তখন উঠে গেছে ১৬৯ রান। আবাহনীর রানের চাকাটা এরপর শুধু ঘুরেছেই। শান্ত ২৩ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন, জহুরুল থেমেছেন ৬৩ বলে ৭৫ রান করে। ভারতের ওয়াসিম জাফরও পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে খেলেছেন ৩৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংস।

    সাব্বির রহমানও শুরুটা দারুণ করেছিলেন, তবে ২৪ বলে ৩৩ রান করে আউট হয়ে গেছেন। আবাহনীর রান ৩৭৭ রান পর্যন্ত যাওয়ার মূল কৃতিত্ব মোহাম্মদ মিঠুনের। ৩৪ বলে ৬৪ রানের আরেকটি ঝোড়ো ইনিংসে শেষ ১০ ওভার আবাহনী তুলেছে ১০২ রান। এর মধ্যেই মুমিনুল হক অবশ্য করে ফেলছেন দারুণ একটা কীর্তি। লিস্ট এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফিল্ডার হিসেবে এক ইনিংসে ধরেছেন পাঁচটি ক্যাচ।

     

     

    এই রান তাড়া করতে ২ ওভারের মধ্যে ২৭ রান তুলে ফেলেছিল রূপগঞ্জ। এর পরেই মেহেদী হাসান মিরাজের এক ওভারে ফিরে যান মেহেদী মারুফ ও মুমিনুল হক। নাঈম ইসলাম ও জাকের আলীও সঙ্গ দিতে পারেননি বেশিক্ষণ, শাহরিয়ার নাফীসও ফিরে গেছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। একটা সময় তাই ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে রূপগঞ্জ।

     

    তবে ওপেনার মোহাম্মদ নাইম চালিয়ে যাচ্ছিলেন লড়াইটা। ষষ্ঠ উইকেটে ঋষি ধাওয়ানকে নিয়ে ৬১ ও সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ শহীদকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৯২ রান। নিজে লিস্ট এ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন, তবে ১৩৫ বলে অপরাজিত ১২৩ রানের ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত সান্ত্বনাই হয়ে থেকেছে। ৫০ ওভার শেষে ২৭৫ রানের বেশি করতে পারেনি রূপগঞ্জ।