প্রিমিয়ার লিগে কার রান বেশি, কার বেশি উইকেট
৬২.৬১ গড়, তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস, যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৩টি সেঞ্চুরি। প্রিমিয়ার লিগে সবার ওপরে সাইফ হাসান। চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ও রূপগঞ্জের পরই তার দল প্রাইম দোলেশ্বর। সাইফের পরের নামটি এবার প্রিমিয়ার লিগে চমক। গত মৌসুমে অভিষেক হয়েছিল, এবার পেরিয়ে গেলেন ৮০০ রানের দেওয়ালটা। সাইফের মতো তিন সেঞ্চুরি তারও। গড়টা সাইফের (৬২.৬১) চেয়ে কম হলেও স্ট্রাইক রেটে অনেক তার (৭৯.৩৩) এগিয়ে মোহাম্মদ নাইম (৯৪.৩৮)। তার দল রূপগঞ্জ শেষ রাউন্ডের আগেও ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে দারুণভাবে। সাইফ ও নাইমের পরে ‘বুড়ো হাড়ের ভেলকি’ দেখানো রকিবুল হাসান। ২০০৫ সালে অভিষেক হওয়া রকিবুল যেন নতুন করে খুঁজে পাচ্ছেন নিজেকে। ৬০.০৬ গড়ে ব্যাটিং করেছেন, ১টি সেঞ্চুরির সঙ্গে আছেন ৮টি ফিফটি। তবে সাইফ-নাইমের চেয়েও স্ট্রাইক রেটে এগিয়ে তিনি (৯৬.০৬)। মোহামেডানের খুব ভাল না যাওয়া মৌসুমে অনেক উজ্জ্বল দিক তাদের অধিনায়কের ব্যাটিং। প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় এই তিনজনের পরে শীর্ষ পাঁচে আছেন আবাহনীর জহুরুল ইসলাম (৭৩৫, ৩ সেঞ্চুরি) ও ব্রাদার্সের ফজলে রাব্বি (৬০৩, ৩ সেঞ্চুরি)।
দিন যাচ্ছে, ফরহাদ রেজার ঝলক বাড়ছে। সর্বোচ্চ রানের মতো সর্বোচ্চ উইকেটও দোলেশ্বরের ভাগে, রেজা নিয়েছেন ১৬ ম্যাচে ৩৮ উইকেট। ১৬.৩৯ রান ব্যয় করেছেন প্রতি উইকেট নিতে, প্রায় ২২ বলে নিয়েছেন একটি করে। তিনবার চার উইকেটের সঙ্গে আছে ৪০ রানে ৫ উইকেটের ফিগার। রেজার সঙ্গে দুইয়ে থাকা শহিদের উইকেটের ব্যবধান ১১টি, রূপগঞ্জের এই পেসার দুইবার নিয়েছেন ৪ উইকেট করে। শহিদের চেয়ে ২ উইকেট কম নিয়ে তিনে আছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পাওয়া পেসারের প্রিমিয়ার লিগটা গেছে দারুণ। ১৩ ম্যাচ খেলেছেন, গড়েছেন ক্যারিয়ারসেরা ৯ রানে ৫ উইকেটের বোলিং ফিগার। এই তিনজনের পর ২২টি করে উইকেট নিয়ে চারজন আছেন তালিকায়- বিকেএসপির হাসান মুরাদ, খেলাঘরের রবিউল হক, রূপগঞ্জের নাবিল সামাদ ও মোহামেডানের সোহাগ গাজী।