• দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    এমন জয় কল্পনাতেও ভাবিনি: করুণারত্নে

    এমন জয় কল্পনাতেও ভাবিনি: করুণারত্নে    

    এই সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে শেষবার তারা জয়ের দেখা পেয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে। একের পর এক হার, অধিনায়ক বদল, কোচের সাথে খেলোয়াড়-বোর্ডের দ্বন্দ্ব; সবকিছু মিলিয়ে শ্রীলংকার ক্রিকেটের আকাশ থেকে কালো মেঘ যেন সরার নামই করছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকাতে এসেই যেন বদলে গেলো সবকিছু। দুই টেস্টে অবিশ্বাস্য দুই জয়ে এশিয়ার প্রথম দল ও বিশ্বের তৃতীয় দল হিসেবে আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতল লংকানরা। এই সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া লংকান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে তো বলেই দিলেন, কল্পনাতেও এমন জয়ের স্বপ্ন কথা ভাবেননি তাঁরা!

     

     

    দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই বাদ পড়েন লংকান অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল, দায়িত্ব পান করুণারত্নে। যে আফ্রিকার মাটিতে প্রায় সব দলই নাকানি চুবানি খায়, সেখানেই করুণারত্নের শ্রীলংকা গড়ে তোলে দুর্দান্ত প্রতিরোধ। এক ম্যাচ হাতে রেখেই দারুণ এক সিরিজ জয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন করুণারত্নেরা।

    এমন জয় নিজেদেরও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, স্বীকার করলেন করুণারত্নে, ‘আসলে সিরিজে আগে এটা কেউ কল্পনাও করেনি! যখন প্রথম টেস্টটা জিতে গেলাম, তখন থেকেই কিছুটা আত্মবিশ্বাস জেগেছিল। দলের অনেকেই আমাকে বলেছিল, আমরা সিরিজও জিতে ফেলতে পারি! আমি সেটা হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলাম। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা ঘরের মাটিতে কতটা শক্তিশালী, সেটা সবাই জানে। তবে যেভাবে দ্বিতীয় টেস্টেও জয় এসেছে, এটা অবিশ্বাস্য। শ্রীলংকার ক্রিকেটের জন্য এই জয়টা অনেক বড় একটা প্রাপ্তি।’

    এদিকে লংকানদের আত্মবিশ্বাস যখন তুঙ্গে, ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ দক্ষিণ আফ্রিকার আত্মবিশ্বাসে বড় আঘাত এনেছে বলেই মানছেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি, ‘এই সিরিজ হার আমাদের আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা দিয়েছে। সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত হারের মাঝে এই সিরিজটাও থাকবে। হয়ত দীর্ঘ একটা মৌসুম শেষে সবাই অনেকটা ক্লান্ত, তাও এটাকে অজুহাত হিসেবে দাড় করাতে চাই না। পিচ খুব ভালো ছিল, আমাদের ব্যাটসম্যানরা সহজেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছে। এরকম হার মেনে নেওয়া খুব কঠিন।’

    ধুঁকতে থাকা শ্রীলংকাই যে উড়তে থাকা আফ্রিকাতে মাটিতে নামিয়ে আনবে, সেটা কে জানত?