• দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    উদানার বীরত্বের পরও পারল না শ্রীলংকা

    উদানার বীরত্বের পরও পারল না শ্রীলংকা    

    স্কোর

    দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে ১৮০/৩ ( হেনড্রিকস ৬৫, ডুসেন ৬৪, ডুমিনি ৩৩*; মালিঙ্গা ১/২৬)

    শ্রীলংকা ২০ ওভারে ১৬৪/৯ (উদানা ৮৪*, পেরেরা ২২; মরিস ৩/৩২, শামসি ২/১৬)

    দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬ রানে জয়ী

     

    শেষ ওভারে দরকার ৩২ রান। লুথো সিমপালার প্রথম বলেই লং অফের ওপর দিয়ে বিশাল এক ছয় মারলেন ইসুরু উদানা। শ্রীলংকা ডাগআউটে তখন অসম্ভবকে সম্ভব করার স্বপ্ন হাতছানি দিচ্ছে। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেও শেষ পর্যন্ত অবশ্য লংকানদের হার এড়াতে পারলেন না উদানা। সেঞ্চুরিয়নে শ্রীলংকাকে ১৬ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল প্রোটিয়ারা।

    ১০ ওভারের মাঝে ৬২ রান তুলতেই নেই শ্রীলংকার ৬ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্যকে তখন অসম্ভবই মনে হচ্ছিল। আফ্রিকার সমর্থকরা যখন ধরেই নিয়েছেন, সহজ জয় পাচ্ছে তাদের দল, তখনই ক্রিজে আসলেন উদানা। ‘শেষ একটা চেষ্টা করে দেখি না কী হয়!’, শুরু থেকেই উদানার মূলমন্ত্র ছিল হয়ত এটাই।

    যেখানে অন্য ব্যাটসম্যানদের কেউ তেমন কিছু করতে পারেননি, উদানা একাই নাকানি চুবানি খাইয়েছেন ডেল স্টেইন, ক্রিস মরিসদের। ৩৩ বলেই তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।

    অন্য প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও একপ্রান্ত আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত লড়াইটা চালিয়ে গিয়েছেন উদানা। ৮ চার ও ৬ ছয়ে ৪৮ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করেও শ্রীলংকাকে জেতাতে পারেননি উদানা। টপ অর্ডারের কেউ দাড়িয়ে গেলে ফলাফলটা হয়ত অন্যরকম হতে পারত, এই আফসোসটাই হয়ত পোড়াচ্ছে তাকে।

     

     

    ম্যাচের শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে প্রোটিয়ারা। ৯ রানে এইডেন মার্করাম ফিরলেও রেজা হেনড্রিকসের ৬৫ ও ভ্যান ডার ডুসেনের ৬৪ রানের সুবাদে বড় স্কোরের ভিত গড়ে আফ্রিকা। শেষের দিকে জেপি ডুমিনির ১৭ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণে ১৮০ রানের স্কোর দাড় করায় তাঁরা। জয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট হয়েছে শেষ পর্যন্ত।