লংকানদের হোয়াইটওয়াশ ঠেকাতে পারলেন না উদানা
স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে ১৯৮/২ ( প্রেটোরিয়াস ৭৭*, হেনড্রিকস ৬৬, ডুমিনি ৩৪*; ভ্যান্ডারসাই ১/৩৫)
শ্রীলংকা ১৫.৪ ওভারে ১৩৭ ( ডিকভেলা ৩৮, উদানা ৩৬; ফেলুকোয়ায়ো ৪/২৪)
দক্ষিণ আফ্রিকা বৃষ্টি আইনে ৪৫ রানে জয়ী
টেস্ট সিরিজের সেই অবিশ্বাস্য ফলাফলের পর ওয়ানডেতে শ্রীলংকাকে মাটিতে নামিয়ে এনেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও শেষ পর্যন্ত হোয়াইটওয়াশ হলো লংকানরা। জোহানেসবার্গে সিরিজের শেষ ম্যাচে বৃষ্টি আইনে শ্রীলংকাকে ৪৫ রানে হারিয়ে ৩-০ তে সিরিজ জিতল প্রোটিয়ারা।
আগের ম্যাচের মতো এবারও লংকানদের সামনে ছিল ১৯৯ রানের বড় লক্ষ্য। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুটা দারুণ করেছিলেন নিরোশান ডিকভেলা। ৪ ওভারের মাঝেই ৪০ রান তোলে শ্রীলংকা। ডিকভেলা খেলেছেন ২২ বল, মেরেছেন সাতটি চার। ২২ বলে ৩৮ রান করে ফিরেছেন অ্যান্ডাইল ফেলুকোয়ায়োর বলে।
ডিকভেলা ফেরার পর খেই হারিয়ে ফেলে লংকান টপ ও মিডল অর্ডার। ৭৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয়ের আশা অনেকটাই শেষ হয়ে যায় তাদের। আগের ম্যাচের মতো তখন আবার শ্রীলংকাকে অসম্ভব এক জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন ইসুরু উদানা।
ক্রিজে নেমেই মারমুখী উদানা চড়াও হয়েছেন প্রোটিয়া বোলারদের ওপর। চারটি চোখ ধাঁধানো ছয়ে ২৩ বলে তিনি করেন ৩৬ রান। উদানার প্রতিরোধ অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, ফেলুকোয়ায়োর বলে মারতে গিয়ে লং অফে ডেভিড মিলারের হাতে তালুবন্দি হয়ে ফেরেন। শেষ হয়ে যায় লংকানদের শেষ আশাটুকুও। পুরো ইনিংসে উদানাসহ মাত্র তিনজন ছুঁয়েছেন দুই অংক। ২৪ রান দিয়ে ফেলুকোয়ায়ো নিয়েছেন চার উইকেট।
ম্যাচের শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিং নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মার্করাম ১৫ রানে ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৯০ রানের দারুণ জুটি গড়েন রেজা হেনড্রিকস ও ডোয়াইন প্রেটোরিয়াস। আট চার ও দুই ছয়ে হেনড্রিকস করেন ৫২ বলে ৬৬ রান, ফিরেছেন জেফরি ভ্যান্ডারসাইয়ের বলে বোল্ড হয়ে।
সাত চার ও তিন ছয়ে ৪২ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন প্রেটোরিয়াস। শেষের দিকে দুই চার ও তিন ছয়ে ১৪ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জেপি ডুমিনি। তাদের স্কোর দাড়ায় ১৯৮ রান। জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত এটা যথেষ্টই হয়েছে।