সুপার ওভারের রোমাঞ্চে জিতল দ.আফ্রিকা
স্কোর
শ্রীলংকা ২০ ওভারে ১৩৪/৭ (মেন্ডিস ৪১, পেরেরা ১৯; ফেলুকোয়াকো ৩/২৫)
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে ১৩৪/৮ ( মিলার ৪১, ডুসেন ৩৪; মালিঙ্গা ২/১১)
সুপার ওভার-
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪ রান, শ্রীলংকা ৫ রান
দক্ষিণ আফ্রিকা সুপার ওভারে জয়ী
সুপার ওভারে শ্রীলংকার দরকার ছিল ১৫ রান। ইমরান তাহিরের ওভারে দুইবার আভিস্কা ফার্নান্দোর ক্যাচ ছাড়লেন ডি কক ও ডেল স্টেইন। তাতেও অবশ্য লংকানদের কপাল খুলল না, ছয় বলে থিসারা পেরেরা ও ফার্নান্দো মিলে নিতে পারলেন মাত্র পাঁচ রান। রোমাঞ্চকর এক সুপার ওভারে জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
অথচ জয়টা আরও সহজেই পাওয়ার কথা ছিল প্রোটিয়াদের। শ্রীলংকার দেওয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন তাঁরা। ভ্যান ডার ডুসেন ও ডেভিড মিলারের ৬৭ রানের জুটি সহজ জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিল আফ্রিকাকে। শেষ চার ওভারে দরকার ছিল মাত্র ১৮ রান, হাতে তখনও ছয় উইকেট।
ঠিক তখনই এলোমেলো হয়ে গেলো সবকিছু। ১৭ তম ওভারে লাসিথ মালিঙ্গার তৃতীয় বলে উদানার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ৩৪ রান করা ডুসেন। পঞ্চম বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হলেন মিলারও, তিনি ফিরেছেন ৪১ রান করে। ১৮ তম ওভারে দুটি চার মেরেছিলেন অ্যান্ডাইল ফেলুকোয়াকো ও জেপি ডুমিনি। ওই ওভারে দনঞ্জয়া ডি সিলভার পঞ্চম বলে ফেরেন ফেলুকোয়াকো। মালিঙ্গার পরের ওভারে এসেছে মাত্র এক রান, শেষ বলে বোল্ড হয়েছেন কাগিসো রাবাদা।
শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৫ রান। প্রথম চার বলে উঠলো দুই রান। পঞ্চম বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হলেন ডুমিনি। শেষ বলে প্রোটিয়াদের লাগত দুই রান, উদানার বলে সজোরে ব্যাট চালালেন তাহির, বল ব্যাটের নিচে লেগে গেল উইকেটকিপার নিরোশান ডিকভেলার কাছে। তিনি থ্রো করলেও বল উইকেটে লাগল না, ততক্ষণে এক রান নিয়ে ফেলেছেন তাহির।
ম্যাচ টাই হওয়ায় খেলা যায় সুপার ওভারে। মালিঙ্গার করা ওভারে এক চার ও এক ছয়ে মিলার তোলেন ১৪ রান। সেই রানই জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। তাহিরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সুপার ওভারে শ্রীলংকা করেছে মাত্র ৫ রান।
ম্যাচের শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলংকা। দুই ওভারের মাঝেই সাত রানে দুই উইকেট হারায় তাঁরা। এরপর কামিন্দু মেন্ডিসের ৪১ ও পেরেরার ১৯ রানের সুবাদে ১৩৪ রানের স্কোর দাড় করায় লংকানরা। ফেলুকোয়াকো ২৫ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট।