১৬৪ রান তাড়ায়ও সেঞ্চুরি এনামুলের
লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ১৬৩ অল-আউট, ৪৬.১ ওভার (নাঈম ৫২, জাকের ৪৭, মোহর ২/১৪, রাজ্জাক ২/২৫)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১৬৬/১, ৩১.৩ ওভার (এনামুল ১০০*, রুবেল ৪৪, নাবিল ১/৩৬)
প্রাইম ব্যাংক ৯ উইকেটে জয়ী
বোলারদের সমন্বিত পারফরম্যান্সের পর এনামুল হকের সেঞ্চুরিতে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জকে উড়িয়ে দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। রূপগঞ্জের দেওয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্য প্রাইম ব্যাংক পেরিয়ে গেছে ৯ উইকেট ও ১১১ বল বাকি রেখেই।
রানতাড়ায় এনামুল ও রুবেল মিয়ার ওপেনিং জুটিতেই প্রাইম ব্যাংক তুলেছিল ১২৫ রান। নাবিল সামাদের বলে ৬১ বলে ৪৪ রান করে রুবেল ফিরতি ক্যাচ দেওয়ায় ভেঙেছে সে জুটি। এনামুল অবশ্য অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ম্যাচের শেষ ওভারে গিয়ে পূর্ণ করেছেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের একাদশ সেঞ্চুরি। ১১১ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংসে তিনি ১২টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছয়। আর প্রাইম ব্যাংকের ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুদিপ চ্যাটার্জি অপরাজিত ছিলেন ১৫ বলে ১৭ রান করে। ফলে এখানে ফতুল্লার মতো কোনও রেকর্ডের প্রশ্ন ওঠেনি।
এর আগে বিকেএসপিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রূপগঞ্জের স্কোর একসময় ছিল ২ উইকেটে ৭০ রান। ৮ চার ও ১ ছয়ে ৪৩ বলে ৫২ রান করা মোহাম্মদ নাঈম আউট হয়েছেন তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে, এরপরই তাদের ইনিংসে নেমেছে ধস। নাঈম ইসলাম, আসিফ আলি ও ভারতীয় ঋশি ধাওয়ান দুই অঙ্ক ছুঁলেও কেউই করতে পারেননি ১৫ এর বেশি রান।
সাতে নামা জাকের আলি করেছেন ৬৪ বলে ৪৭ রান, তবে ১৬৩ এর বেশি করতে পারেনি রূপগঞ্জ। রূপগঞ্জের ১০ উইকেট সমান ভাগ করে নিয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের পাঁচ বোলার- মোহর শেখ, আল-আমিন হোসেন, আরিফুল হক, আব্দুর রাজ্জাক ও অলক কাপালি। রাজ্জাক ২ উইকেট নিয়েছেন ২৫ রানে, আর মোহর খরচ করেছেন মাত্র ১৪ রান।
৩ ম্যাচে এটি ২য় জয় প্রাইম ব্যাংকের, পয়েন্ট টেবিলে আবাহনীর পরই এখন তারা। রূপগঞ্জেরও প্রাইম ব্যাংকের সমান পয়েন্ট, তবে রান-রেটের ব্যবধানে তারা পাঁচে।